রুহুল আমীন, ঢাকা: চিরকালের মতো লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেন অভিনেত্রী মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। আর তিনি ফেরবে না। ভক্তদের চোখে শুধু অশ্রু।

শুক্রবার দুপুরে কলকাতার কেওড়াতলা মহা শ্মশানের চিত্তরঞ্জন দাস উদ্যানে চন্দন কাঠের চুল্লীতে বিলীন হয়ে গেলো বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা নায়িকা সুচিত্রা সেনের দেহ।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান গান স্যালুট প্রদান করা হয়। এর পর বাজানো হয় মহানায়িকার প্রিয় গান।

এ সময় হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা দেব সহ হাজির ছিলেন বাংলা চচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

পরিবারের তরফে হাজির ছিলেন সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেন, নাতনি রিয়া এবং রাইমা সেন।

ভারতীয় সময় ঠিক বেলা ১টা ৪১ মিনিটে এ মহানায়িকাকে চুল্লিতে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের প্রথা মেনে বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে মুখাগ্নি করেন মুনমুন সেন। এ সময় কান্নাতে ভেঙ্গে পরেন মুনমুন সেন।suchitra_sen_2_pic

কালো কাঁচে মোড়া শববাহী শকটের ভেতর কফিনে রাখা হয়েছিল মহানায়িকার মরদেহ।শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য মানুষ। শ্মশানেও হাজির ছিলেন আবাল বৃদ্ধ বনিতা। দূর থেকেই তারা শেষ শ্রদ্ধা জানান।

কলকাতার রবীন্দ্র সদনে দুপুর ২টা থকে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানাবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে রাখা থাকবে মহানায়িকার ছবি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৫ দিন কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে মারা যান এ মহানায়িকা।