যুক্তরাষ্ট্র-গ্রহণযোগ্যস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। শুক্রবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে কূটনীতিকদের এক বৈঠকে এ আহবান জানান। বৈঠকে বিশ্বের অন্তঃত ৫০টি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।

ড্যান মোজেনা বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বসা উচিত। যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি

নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশী জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মে অথবা জুন মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সম্পর্কে পরামর্শ করতে দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্র থাকার পর গতকাল বাংলাদেশে ফিরেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাদের এ মনোভাব ব্যক্ত করলেন। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কূটনীতিকদের সাথে এ বৈঠকে মোজেনার এই আহবানকে উচ্চাভিলাসি বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, আলোচনার ব্যাপারে সরকার আšত্মরিক এবং নির্বাচন মধ্যবর্তী কালীন সময়ে হবে, না কি ৫ বছর পর হবে আলোচনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। ৪০ মিনিটের এই বৈঠকে শাহরিয়ার বলেন, আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন করতে হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোট এ নির্বাচন বয়কট করে সহিংসতা চালিয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করেছে।

১২ জানুয়ারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করার পর এটাই ছিল কূটনীতিকদের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালীসহ অধিকাংশ দেশের কূটনীতিকরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিলম্বে সংলাপের বসার উপর গুরুতারোপ করেন।

সূত্র জানিয়েছে,ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হান্না ইঙ্গিত দিয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বানিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনও বাংলাদেশে নতুন করে নির্বাচন করতে দ্রুত সংলাপে বসার তাগিদ দেন।

বৈঠকে কূটনীতিকরা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ টি আসনে প্রার্থীদের বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেন। একই সাথে তারা বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ চলাকালীয় সময়ে সহিংস তৎপরতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার তীব্র সমালোচনা করেন