bnp_lagoস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের মাঠে নেমেছিল । কিন্তু আন্দোলনকে সফল করতে বিশেষ করে বিএনপি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।এখন সেই বিএনপিই নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে পুনরায় ঘর গোছাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সক্রিয় করতে শিগগিরই গণসংযোগে বেরুবেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গণসংযোগের আগে সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। তবে দলের নেতারা অনুমতির ব্যাপারে আশাবাদী।

এ সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্বের পাশাপাশি থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যে-কোনো মূল্যে নেতাকর্মীদের উপস্থিতির সফলতা দেখতে চায় বিএনপি। রাজধানীর এই গণসমাবেশ করাসহ ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নেতাকর্মীদের অলসতা ও ভয়ভীতি দূর করে রাজপথে নামিয়ে আনার জন্যই সোমবারের এই গণসমাবেশের আয়োজন। তাছাড়া অনেক ঝড়ঝাপটা পেরুনো বিএনপি চেয়ারপারসন এ দিন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এতে নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হবে। তাই গণসমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বিএনপি ও শরিকরা। কেন্দ্রীয় এ কর্মসূচি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পালিত হবে।

এদিকে ৫ জানুয়ারির ১০ম জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। আন্দোলন চলাকালে অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিহত হয়েছেন বেশ কিছু নেতাকর্মী। জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্মাক কর্মসূচি চালাতে গিতে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন, রেল লাইন উপড়ে ফেলা, ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, রাস্তাঘাট কেটে ফেলা ও রাস্তার পাশে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গাছ কেটে ধ্বংস করার মতো বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আন্দোলনের নামে এমন সহিংস ঘটনায় একের পর এক মামলা ও একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।

এ কারণে নেতাকর্মীদের ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিএনপি ও শরিক নেতাকর্মীরা রাজপথ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে পুরোপুরি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা শুরু করেন। অবশেষে বর্তমান সরকার গঠনের পর ও খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কজন নেতা ইতোমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। বাকি নেতারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেরিয়ে আসবেন বলে আশা করছে দলটি।

এদিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দাতা সংস্থাগুলো বিরক্ত। উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমবিষয়ক বিশেষায়িত সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক বিতর্কে বাংলাদেশে সুশাসনবিষয়ক প্রকল্পে ব্রিটিশ সাহায্যের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য এমপিদের দাবির একদিন পর ডেভেক্স এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল। ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটি বলেছে, দেশটিতে তাদের সহায়তা বাড়বে না কমবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টিও বিবেচিত হবে।