848703bandwith20150831171208দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : সমূদ্র তলদেশ দিয়ে ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ শেয়ারিংয়ের জন্য মিয়ানমার এবং পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরের একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি কাজ করছে।

সরকারি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে শর্তাবলী চূড়ান্ত করতে এবং একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য সিঙ্গাপুরের ব্লুবেরি টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাসিডে এনজি আগামীকাল ঢাকা সফরে আসছেন।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন আজ বাসসকে বলেন, ব্লুবেরি আঞ্চলিক সমূদ্র তলদেশের মাধ্যমে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ব্লুবেরি ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমূদ্র তলদেশের ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে।

বিএসসিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, এই প্রকল্পে বাংলাদেশ একটি কানাকড়িও বিনিয়োগ করবে না। মিয়ানমারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করে আসছিল। তবে সীমান্তে পাবর্ত্য এলাকা হওয়ায় এটি খুবই দুঃসাধ্য ছিল। এই ক্যাবল সংযোগ ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার মতো মিয়ানমার এবং পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, চুক্তির মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ব্যান্ডউইথের প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবাইট রপ্তানি করতে সক্ষম হব। কক্সবাজার থেকে সিতে পযর্ন্ত সমুদ্র তলদেশে ক্যাবল স্থাপনে প্রায় ৬ মাস সময় লাগবে। এতে ব্যয় হবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য আঞ্চলিক কানেকটিভিটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বাসসকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ব্লুবেরি কোম্পানি বাংলাদেশের ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয়কে একটি প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি সাথে সাথে বিএসসিসিএল’র কাছে পাঠিয়ে দেয়। মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে ব্লুবেরি কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন করে।

বিএসসিসিএল দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৩০০ জিবি ব্যান্ডউইথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করে।

উল্লেখ, বাংলাদেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ জিবি ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বার্ষিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।