dseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের বাজার মূলধনের পরিমাণ ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৮ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ট্রেজারি বন্ড ও ডিবেঞ্চারসহ এ বাজারে ২২ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৫৬৪টি। যদিও ট্রেজারি বন্ড ও ডিবেঞ্চার বাদে ২১ খাতের ৩৪৩টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এরমধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে ৩৬টি।

পুঁজিবাজারে মোট কথা এ ৫৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বিবেচনায় ডিএসই’র বাজার মূলধনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আর এ খাতগুলোর মধ্যে বাজার মূলধনে টেলিকমিউনিকেশন খাতটি এগিয়ে রয়েছে। গত সপ্তাহের লেনদেন বিবেচনায় এ খাতের বাজার মূলধন প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই’র তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, এ খাতের বাজার মূলধন ৪৬ হাজার ৫৮০ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অথচ এ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা মাত্র দুইটি। এরমধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণফোনই মোট বাজার মূলধনের ১২.৯৪ শতাংশ দখলে রেখেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৫১ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে এ খাতের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম ও হিসাবের স্বচ্ছতা অন্য কোম্পানির তুলনায় কিছুটা ভালো। বেশিরভাগ কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকেই নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। অন্যদিকে কয়েক বছর আগেও বাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা কম ছিল। এ কারণে টেলিকমিউনিকেশন খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি ছিল। ফলে বাজার মূলধনের অংশের দিক থেকে এ খাত সবার শীর্ষে অবস্থান করছে।

এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। যার বাজার মূলধনের পরিমাণ ৪২ হাজার ৫৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৮টি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী খাত। যার বাজার মূলধনের পরিমাণ ৪০ হাজার ৫১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। চ

তুর্থ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। যার বাজার মূলধনের পরিমাণ ৩৯ হাজার ৫৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। কয়েক বছর আগেও এ খাতের কোম্পানিগুলো মোট বাজার মূলধনের অর্ধেক নিজেদের দখলে রেখেছিল। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এ খাতটি তার চিরচেনা রুপটি হারিয়ে ফেলেছে।

নানা অনিয়ম-দূর্নীতিতে এ খাতটি ধ্বংসের দ্বাড়প্রান্তে চলে এসেছিল। তবে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের কঠোর নিয়ন্ত্রনে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থার নির্ভরযোগ্য এ খাতটি।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বাজার মূলধন ২৩ হাজার ৮০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, সিমেন্ট খাতের ২০ হাজার ১৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ব্যাংক বহিভর্‚ত আর্থিক খাতের ১৫ হাজার ৩৫৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, প্রকৌশল খাতের ১৫ হাজার ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা,

বস্ত্র খাতে ৯ হাজার ৩৭১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বীমা খাতে ৮ হাজার ৪৭৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বিবিধ খাতে ৭ হাজার ২৪০ কোটি ৬২ লাখ টাকা, সেবা ও আবাসন খাতে ২ হাজার ৮৮৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা, সিরামিক খাতে ২ হাজার ৭৭৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা, চামড়া খাতে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ভ্রমন ও অবকাশ খাতে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, আইটি খাতে ৬৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, কাগজ ও মুদ্রন খাতে ১৭২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং পাট খাতে ৬৮ কোটি ১১ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।