দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, শুধু টাকার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসিনি। কোম্পানিটিকে দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য শেয়ারবাজারে এসেছি।

মঙ্গলবার রানার অটোমোবাইলসের লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রানার অটোমোবাইলসের মাধ্যমে এই প্রথম কোন বিদেশী ইকুইটি বিনিয়োগকারী কোম্পানী কর্তৃক বিনিয়োগকৃত বাংলাদেশী কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলো।

হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার আর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটিকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠানটি সুনাম ও আস্থা অর্জন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আগামী দিনে আমরা সবার অব্যাহত সহযোগিতা নিয়ে এই সুনাম আরও বৃদ্ধি করতে চাই।

রানার এখন এক ধাপ এগিয়ে ’মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত মোটরসাইকেল বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে। শেয়ারবাজারে আসার নতুন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব আগের তুলনায় আরও বেড়ে গেছে এবং আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা পালনে বদ্ধ পরিকর।

এসময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, রানার অটোমোবাইলস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াতে সাধারণ বিনিয়োগকারিরা উৎসাহবোধ করছে। একইদিনে সিএসইতে রানার অটোমোবাইলসের চুক্তি সাক্ষর হয়। এতে

সিএসইর মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক বলেন, রানার এর মত একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানির শেয়ারবাজারে অর্ন্তভূক্তি বিনিয়োগকারীদের উতসাহিত করবে এবং শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করবে।

রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রিয়াজুল হক চৌধুরী বলেন, শেয়ারহোল্ডাররা আইপিওতে আমাদের উপর অটুট আস্থা ও বিশ্বাস দেখিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ত্ব হলো কোম্পানিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে তাদের এই আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখানো। তিনি ডিএসই, সিএসইসহ আইপিওতে যুক্ত সংশ্লষ্টি সকল পক্ষকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ব্রামার ফ্রন্টিয়ার পিই টু (মরিশাস) লিঃ এর মনোনিত পরিচালক খালিদ শহিদুল কাদির বলেন, রানার অটোমোবাইলস একটি পরিচ্ছন্ন উৎপাদন মুখী কোম্পানী। যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। ব্রামার ফ্রন্টিয়ার পিইটু (মরিশাস) লিঃ এর মনোনিত পরিচালক মোয়াল্লেম এ চৌধুরী, ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষকে কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তাদের সহায়তার জন্য।

রানার অটোমোবাইলসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরাপুরি কমপ্লায়েন্স মেনে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে ব্যবসা করছি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।

রানার গ্রুপের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিঃ ২০০০ সালে ব্যবসা শুরু করে। রানার অটোমোবাইলস লিঃ বাংলাদেশে প্রথম কোম্পানি যে দেশের বাজারের জন্য মোটর সাইকেল উৎপাদন করছে এবং বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করছে। মোটর সাইকেলের পাশাপাশি রানার বাংলাদেশে থ্রি-হুইলার এর পরিবেশক।

রানার অটোমোবাইলস লিঃ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রানার মোটরস বাংলাদেশে ভলভো আইসারের বাণিজ্যিক যান ট্রাক ও হালকা যানের পরিবেশক। বাণিজ্যিক যানের বাজারে রানার মোটরস একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং এ খাতের বাজারের বড় অংশ এর দখলে। রানার অটোমোবাইলস্ লিঃ পরিচালিত হয় একটি প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক ও বৈচিত্রিক সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাপনা টিম এবং একটি শক্তিশালী বৈচিত্রপূর্ণ বোর্ড কর্তৃক। যেখানে ব্রামার ফ্রন্টিয়ার পিইটুর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।