দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের দরপতন পিছু ছাড়ছে না। টানা পতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নি:স্ব বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আন্দোলন স্থগিতের পরদিনই ফের রাজপথে। প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৫ দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের কিছুদিনের সময় দিয়ে বিনিয়োগকারীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করলেও গতকাল এবং আজ বাজারের বেহাল দশা দেখে আবার রাজপথে নেমেছে বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার দুপুর ২.৩০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে মানববন্ধন করেছে শেয়ারবাজারের সাধারন বিনিয়োগকারীরা।

আজ সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। ডিএসইএক্স আজ ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে। যা ডিএসইতে ২ বছর ৭ মাস বা ৬২৫ কার্যদিবশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে রবিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩ পয়েন্টে। মূল্য সূচক ধসে পড়ায় একদিনেই বিনিয়োগকারীদের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘টানা দরপতনে আমরা বাকরুদ্ধ। শেয়ারবাজারে দরপতন তো চলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেখেও না দেখার ভান করছে। বর্তমান পুঁজিবাজার ২০১০ সালের মহাধসের থেকে কোনো অংশে কম নয়। প্রতিনিয়ত আমাদের বিনিয়োগকারী ভাইয়েরা পুঁজি হারাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে তাতে একপর্যায়ে হয়তো আত্মহত্যা করতে হবে।’

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও আন্দোলনকারী নেতা কিবরিয়া মিয়া বলেন, পুঁজিবাজারের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আত্মহত্যার বিকল্প নেই। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন আমাদের বাঁচান বলে দীর্ঘ নি:শ্বাস নিয়ে চেখের পানি ছেড়ে দেন তিনি।

বিনিয়োগকারী ঐক্য পষিদ নেতা আতাউল্লাহ নাইম বলেন, পুঁজিবাজার এখন মুমুর্ষু অবস্থায় রয়েছে। পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখন দোলাচলে রয়েছেন। প্রত্যক দিন পতন হচ্ছে, আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি। আইসিবি এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আস্থা ও তারল্য সংকট দূরের লক্ষ্যে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের সুবিধাগুলো আদায়ে ব্যস্ত তারা, বাজারকে সাপোর্ট দিচ্ছে না।