দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারে নানা সঙ্কেটর মধ্যেই সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। লোকসানের জন্য কিংবা বাজার খারাপ বলে কাউকে দোষারুপ করে কোনো লাভ হবে না। তবে কোথাও কোনো ভুল থাকলে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। গতকাল এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ শাকিল রিজভী।

এ সময় তিনি বলেন, বলেন, তিনি বর্তমান বাজারের অবস্থাকে খারাপ মনে করেন না। কারণ বাজার কখনো খারাপ হয় না। খারাপ হয় ব্যক্তির সিদ্ধান্ত। তিনি ভালো দামে কিনতে পারলেন কি-না, ভাল দামে বেচতে পারলেন কি-না। তাই সিদ্ধান্ত যাতে ভুল না হয় সে চেষ্টা করতে হবে। লোকসানের জন্য কিংবা বাজার খারাপ বলে কাউকে দোষারুপ করে কোনো লাভ হবে না। তবে কোথাও কোনো ভুল থাকলে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে।

রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসি কমিশনার হেলাল উদ্দীন নিজামী। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন শাকিল রিজভী, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছায়েদুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারী এফসিএমএ, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বাস্তব ধারণার অভাবে অনেকে মনে করেন, কোনো ধরনের রেগুলেটরি রিফর্ম হলে বাজারে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু এটি বাস্তবসম্মত নয়। তিনি বলেন, মুদ্রা বাজারে অর্থের যোগান কমে যাওয়ায় পুঁজিবাজারেও এর যোগান কমে গেছে। তাতেই কমেছে পুঁজিবাজারের গতি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারী এফসিএমএ বলেন, সঙ্কেটর মধ্যেই সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে, সে শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়টি শুধু কিছু অর্থ উত্তোলনের জন্য নয়, এর সঙ্গে কোম্পানি স্থায়িত্বশীলতারও সম্পর্ক আছে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর স্থায়ীত্ব খুব বেশি হয় না। শত বছর পরে এদের কোনো অস্তিত্ব থাকে না।

কিন্তু তালিকাভুক্ত হলে করপোরেট স্ট্রাকচার, ও করপোরেট গভর্ন্যান্সের কারণে কোম্পানিগুলো অনেক টেকসই হয়। তাই দেশের যেসব বড় কোম্পানি এখন পুঁজিবাজারের বাইরে আছে, টিকে থাকতে হলে সেগুলোকেও এক সময় পুঁজিবাজারে আসতে হবে।