দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম বহুজাতিক কোম্পানি কোকাকোলাকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরামর্শ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোকাকোলা কোম্পানির প্রেসিডন্ট এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিওও ব্রায়ান স্মিথ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলামসহ কোকাকোলার আঞ্চলিক উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ বছরে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় বহুজাতিক এ কোম্পানিটি। বাংলা টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ১৭শ কোটি টাকা। বৈঠকে শুল্ক সুবিধা চান কেকাকোলার প্রেসিডেন্ট। এ সময় অর্থমন্ত্রী কর সুবিধা পেতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এমনকি নতুন পণ্য উৎপাদন করলে কিংবা স্পেশাল ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগ করেও নানা সুবিধা পেতে পারেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে কোকোকালোর প্রেসিডেন্ট আগামি ৫ বছরে বাংলাদেশে ২০ কোটি ডলার (স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান। অর্থমন্ত্রী তাদের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির জন্য খুবই লাভজনক হবে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সব চেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। এছাড়াও আছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ। এসব কাজে লাগিয়ে উচ্চতর মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

আহম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে এখানে বিনিয়োগ অনেক লাভজনক। তাই কোকাকোলার উচিত বাংলাদেশে আরো বেশী বিনিয়োগ করা এবং তার তরুণ ও বর্ধমান জনসংখ্যার সুযোগ নেওয়া। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশে জনমিতিক লভ্যাংশের ‘ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ট’ সুযোগ বিদ্যমান। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। চীন, ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে।

২০৩২ সালে পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ হবে চীন, দুই নম্বর হবে আমেরিকা, তিন নম্বর হবে ইন্ডিয়া, চার নম্বর হবে জাপান এবং পাচ নম্বর হবে জার্মানী। চীন, ভারত ও জাপান এই তিনটি বৃহত অর্থনীতির দেশের মাঝে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সুতারাং কৌশলগত কারনেই বাংলাদেশকে এড়িয়ে বিশ্বের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।