দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪ কোম্পানির ব্যবসায়িক এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিগুলো হলো: আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড এবং বীচ হ্যাচারী লিমিটেড। উল্লেখিত ৪ কোম্পানির ধারাবাহিক ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ডিএসই অনুমতি চাইলে সম্প্রতি কমিশন তা অনুমোদন করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এর আগে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে এমন ১৪ কোম্পানিকে নিয়ে রি-ভিউ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। কোম্পানিগুলো হলো: মেঘনা পেট ইন্ডাষ্ট্রিজ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, দুলামিয়া কটন স্পিনিং, সমতা লেদার কমপ্লেক্স, শ্যামপুর ‍সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন ইন্ডাষ্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাষ্ট্রিজ, সাভার রিফ্যাক্টরীজ, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, জুট স্পিনার্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারগাও টেক্সটাইল এবং ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক। পরবর্তীতে এসব কোম্পানির সঙ্গে বীচ হ্যাচারী এবং ইউনাইটেড এয়ারকে রি-ভিউয়ের আওতায় আনা হয়।

সম্প্রতি ডিএসই আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড এবং বীচ হ্যাচারী লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করে এবং কমিশন তদন্তের জন্য ডিএসইকে অনুমতি প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিষ্টিং) রেগুলেশন,২০১৫ এর ৫১ (১) (এ) বলা হয়েছে, যদি কোনো কোম্পানি তার সর্বশেষ ডিভিডেন্ড দেওয়ার পর ৫ বছর ধরে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ডিএসই চাইলে কোম্পানিকে ডি-লিষ্টিং করতে পারে।

এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর ৫১ (১) (সি) এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ইস্যুয়ার স্বেচ্ছায় কিংবা আদালতের নির্দেশে লিক্যুইডেশনে যায় অথবা টানা ৩ বছর ব্যবসায়িক উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে সে ইস্যুয়ারকে তালিকাচ্যুত করা যেতে পারে। এই আইনের আওতায় উল্লেখিত কোম্পানিগুলোকে রি-ভিউয়ের আওতায় রেখেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।