দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজার চারদিন পতন আর একদিন উত্থানের মধ্য দিয়ে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পার করেছে। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন, সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগাকরীদের পুঁজি কমেছে ৭ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৮ হাজার ২৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ফলে উভয় বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে ১৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের দুর্নীতি, অনিয়মের পাশাপাশি আইপিওর অনুমোদনের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং তারপর এ অভিযোগ ভিত্তিহীন খবর প্রকাশিত হওয়ায় উভয় বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

এছাড়াও দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা যাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে না পারে, সে জন্য ডিএসই কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে নতুন করে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে।

ফলে বিদায়ী সপ্তাহে (২৫-২৯) ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৬৯ কোটি ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। যা শতাংশের হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কম। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৪৮টির, কমেছে ৩০২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এর আগের সপ্তাহে দাম বেড়েছিল ২১২টির, কমেছিল ১৩০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির। তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৫ পয়েন্টে, ডিএস-৩০ সূচক ৪৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮০০ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৪৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৬০ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৫৮০ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৯ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫২ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ২৫৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।