দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো ব্যাংকই তা মানছে না। নানা ফন্দিফিকিরে ব্যাংকগুলো সুদের হার ঠিকই দুই অংকে রেখে সরকারকে ব্যবসায়ী মহলে বিতর্কীত করে তুলছে। এ প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। আজ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও ‘বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা’র বক্তব্য তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুহাম্মাদ আবদুর রাজ্জাক

ব্যবসায়ী নেতা প্রবীর কুমার সাহা বলেন, সরকারের কাছে ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও বেসরকারি ব্যাংকগুলো অদ্যাবধি তা মানছে না। অথচ তারা কমিটমেন্ট করেছিলো। কিন্তু ব্যাংক মালিকরা তাদের কমিটম্যান্ট ভুলে গিয়ে ঋণে শতকরা ১৩-১৪ ভাগ হারে সুদ নিচ্ছে।

এমনকি লিজিং কোম্পানিগুলোও ১২ অথবা সাড়ে ১২ ভাগ হারে ডিপোজিট নিচ্ছে। ফলে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে যে, এফডিআর করলে আদৌ টাকা ফেরত পাবে কিনা। এসব নিয়ে আমরা এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসেছি। কথা বলেছি।

সবাই কথা দিয়েছেন, আশ্বস্ত করেছেন,পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে ঋণে সুদের হার এক অংকে নিয়ে আসবেন। কিন্তু বর্তমানে ঋণে সুদের এক অংকে আনার নামে চলছে নানান ফন্দিফিকির ও টালবাহনা। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের ভূমিকা খুবই গুরুত্ব বহন করে।

আমি আশা করছি, তার প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ীরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে বৈষম্য বা দূরত্ব দূর হবে। এফবিসিসিআই থেকে আমাদের জোর দাবি- একটা সমন্বয় করা দরকার। এতে একদিকে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি ব্যাংকও লাভবান হবে।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সূতা ও কাপড়ের অপ-ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রবীর কুমার সাহা বলেন, ‘বন্ডের সুবিধায় সুতা ও কাপড় এনে যারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ভূমিকা নেয়া হবে। পাট শিল্প ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল, তেমনি বস্ত্র খাতকে রক্ষা করতে হলে সরকার তথা এনবিআরের একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা উচিত।’