দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) মতবিনিময়ের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর যাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র মতে, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনী, এক্সচেঞ্জের বার্ষিক ফি ২০ লাখ টাকা এবং প্যানেলভুক্ত নিরীক্ষকদের মাধ্যমে সকলের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করানোসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে বিএসইসির সাথে সাক্ষাৎ করবে তারা। এ বিষয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকেই চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

এরআগে বিএসইসি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনীর জন্য তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের প্রস্তাবনা চাইলে তারা প্রস্তাবনা জমা দেন। সেই প্রস্তাবনার বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বিএসইসিকে ব্যাখ্যা দিবেন তারা।

এছাড়া ডিএসইর কিছু কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি পাঠানোর সুপারিশ, মুন্নু সিরামিকসের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি, এসিআইয়ের সাবসিডিয়ারি স্বপ্নের লোকসান এবং আলহাজ টেক্সটাইলের কারখানা বন্ধের বিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিগুলোর জবাব এখনো আসেনি বিএসইসি থেকে। ফলে ৫ সেপ্টেম্বর বিএসইর সাথে এসব বিষয়েও বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ডিএসইর পর্ষদ সভায়।

এ বিষয়ে ডিএসইর একজন পরিচালক বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত। চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে না। যার কারণে এক্সচেঞ্জকে নিয়ে অনেক সময় সমালোচনা করা হয়, যে এক্সচেঞ্জ কিছু করছে না। এক্সচেঞ্জের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই, সিদ্ধান্ত নিতে হলে কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের বেশকিছু অনিষ্পন্ন বিষয় নিয়েই আমরা কমিশনের সাথে আলোচনা করব।