দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফেরাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ নিয়েছেন বিএসইসি । আইপিও, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম, সেকেন্ডারি বাজারে কারসাজিসহ শেয়ারবাজারের সব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে এখন থেকে দ্রুত কার্যকর ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান সবার মতামতের ভিত্তিতে বাজার পরিচালনার আশ্বাসও দেন। তিনি বিদ্যমান অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াসহ সব সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত নয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকে বিএসইসির কমিশনারসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএর নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর সংশোধন ইস্যুতে মতবিনিময়’ ছাপিয়ে গতকাল সাম্প্রতিক দরপতন এবং শেয়ারবাজারের নানা অনিয়মের বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার বিষয়টিও উঠে আসে।

বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দরপতনের জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকাকে প্রধান কারণ বলে তুলে ধরেন। তারা বলেন, শেয়ারবাজারের সব পর্যায়ে সুশাসনের অভাবই মূলত সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করেছে।

স্টেকহোল্ডারদের নেতাদের অভিযোগ, বিদ্যমান আইনের দুর্বলতার সুযোগে একের পর এক মানহীন কোম্পানি আইপিওতে আসছে। এগুলো বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি বাজারের প্রতি অনাস্থা বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে তারা ভালো কোম্পানি আইপিওতে আনার উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, নিশ্চিত ও বড় মুনাফার আশায় আইপিও ও প্লেসমেন্ট শেয়ারের পেছনে এখন বড় বিনিয়োগকারীরাও ছুটছেন। এ কারণে প্লেসমেন্ট ও আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগে অর্থের অভাব না থাকলেও সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট চরমে উঠেছে। এতে দরপতন দীর্ঘায়িত হচ্ছে।