দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পরিকল্পনায় উন্নয়নসহ নানাবিধ ইস্যুতে গতকাল সব মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারসহ সব পক্ষ থেকেই নানাবিধ ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। এমনকি পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ ফেরাতে যা যা করা দরকার তা করা হবে। অর্থমন্ত্রী চান বাজার উঠাতে।

এদিকে, জুন ক্লোজিং সম্পন্ন হওয়া কোম্পানিগুলোর ঘোষণাও আসতে শুরু করছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি কিছুটা আকৃষ্ট হবে এমনটা স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘ পতন দেখে নতুন করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকেই নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ কারণেই আমাদের বাজার বর্তমানে কিছুটা ছন্নছাড়া বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

কেউ কেউ বলছেন, একটি দেশের অর্থনীতি যখন বড় হয়, তখন বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। উদীয়মান অর্থনীতির দেশে জিডিপির আকার প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বাড়ে। আরও বাড়ে মাথাপিছু আয়। এর প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। পাশাপাশি কমতে থাকে মূল্যস্ফীতি, আমানত ও ঋণের সুদহার। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বর্তমানে এসব লক্ষণ দৃশ্যমান। উদীয়মান অর্থনীতির দেশে পুঁজিবাজারও কিন্তু বড় হতে থাকে। বাড়ে এর লেনদেন ও গভীরতা।

কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো প্রভাব পড়ে না। পুঁজিবাজারের গতি-প্রকৃতি ও আচরণ পর্যবেক্ষণে মনে হবে, দেশের অর্থনীতিতে কোনো গতি নেই। কেন এমন হচ্ছে, তার সঠিক ব্যাখ্যাও দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। কাজেই অর্থনীতি অগ্রগতির স্বার্থে পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য শুধু কথার কথা বললেই চলবে না। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় চাপে বাড়তে থাকে সূচক। লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৯৫৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৫৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৮০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৯৪২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৩৮ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩১৭ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। সে হিসেবে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭১ কোটি ৭২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

অন্যদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।