দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়াংম্যান্স ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনোর মালিক ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংবাদকর্মীদের কাছে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা বলছেন, ৬০টি ক্যাসিনো আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬০ জন কি আঙুল চুষছিলেন? আপনারা কি আঙুল চুষছিলেন?’

এ রকম কড়া কথা বললেও এবার সুর পাল্টেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ অভিযান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশাসনিক পদক্ষেপ। এটি শুভ উদ্যোগ।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে একই কথাইতো। আমি অন্যায় করেছি, তাতে এতদিন পর ব্যবস্থা কেন? সেটা যদি অঙ্কুরেই ব্যবস্থা নেয়া হতো।’

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘ব্যর্থতা প্রথমে আমার আসবে। আমি অন্যের সমালোচনা কেন করব? এটি আমার ব্যর্থতা। যেহেতু আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান। ফলে বিষয়গুলো কেন আমার অজানা ছিল? আমার নিশ্চয়ই সম্পৃক্ততা ছিল, তা না হলে এ কাজগুলো হলো কীভাবে?

এর আগে বুধবার রাতে র‍্যাবের একটি দল গুলশানের নিজ বাসা থেকে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করেন। এ সময় ওই বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে ফকিরাপুলে অবস্থিত তার ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও দেয়া হয়। উদ্ধার করা হয় ২০ লক্ষাধিক টাকা ও বিপুল পরিমাণ মাদক।