দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনভর বীমা খাত ও জুন ক্লোজিং শেয়ারের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। তবে দিনশেষে জুন ক্লোজিং শেয়ারের একক আধিপত্য বিস্তার ছিল। একাধিক বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, জুন ক্লোজিং শেয়ারের ভালো ডিভিডেন্ডের প্রভাবে আগ্রহ বাড়ছে। তাছাড়া জুন ক্লোজিং শেয়ারগুলো গত বছরের তুলনায় ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এদিন লেনদেনের শুরুতে সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। তবে শেষ দুই ঘন্টায় ৫ খাতের ক্রয় প্রেসারে পতনের মাত্র কমতে থাকে। খাতগুলো হলো: আর্থিক, বীমা, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট এবং সিরামিক। বুধবার লেনদেন শেষে সূচক কিছুটা কমলেও বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ ২ হাজার টাকা। দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৯৫১ পয়েন্টে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৬৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫টির।

আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৯৫৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৭৪ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ ২ হাজার টাকা। এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।