দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । নাজমুল দেশে-বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, তার সম্পদের উৎসই বা কী, সেসব বিষয়ে জানবে দুদক। গত সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। দুদক সচিব বলেন, নাজমুল আলমকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আলম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সেখানে তার চারটি কোম্পানি রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ সরকারের কাছে নাজমুলের কোটি কোটি টাকার নিবন্ধিত বিনিয়োগ রয়েছে। তার নামে ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট, পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে দু’টি কোম্পানির পরিচালক পদে তার নাম নেই। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে একটির একক পরিচালক এবং তিনটি যৌথ পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিনিয়োগকারী ভিসায় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী, এই ভিসা পেতে ন্যূনতম দুই লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকায় দুই কোটির বেশি) বিনিয়োগ করতে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে তার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, ফ্লেক্সফগ লিমিটেড, এলিট সিটি লিমিটেড, নাজ ইউকেবিডি প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এসএনবি অটোস লিমিটেড, এসএনআর ইউকে বিডি লিমিটেড ও কার মিউজিয়াম লিমিটেড নামে ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি যুক্ত। এর মধ্যে ইস্ট লন্ডনের কেনন স্ট্রিট রোডে নাজ ইউকেবিডি প্রোপার্টিজ নামের আবাসন ব্যবসার একক পরিচালক তিনি; যার মূলধন দেখানো হয়েছে সাড়ে আট লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশী টাকায় যা ১০ কোটি টাকার সমান। কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ১০ জুলাই ব্রিটিশ সরকারের কোম্পানি হাউজে ১১৪৫৮১৯৯ নম্বরে নিবন্ধিত হয়।