দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জনসেবা ও জনকল্যাণমূলক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হামদর্দ। একটি মহল হারমাদিপনায় মিডিয়ায় মানবসেবায় নিবেদিত প্রাণ হামদর্দকে বিতর্কিত করে এর এমডি ইউসুফ হারুনকে সুকৌশলে মানবতাবিরোধী অপরাধী বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এটা প্রমাণিত সত্য যে, ইউসুফ হারুন মানবতার পূজারি। তাকে দিয়ে কখনো অন্যায়, অসত্য ও অকল্যাণকর কাজ করা দূরে থাক, কল্পনাও করা যায়নি। তার বিগত সময়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র এমন সত্যের বাণীই প্রচার করছে। অথচ সুবিধা ভোগে ব্যর্থ হয়ে মহলটি তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে এ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদের জীবিকা অনিশ্চিত করে তুলছে। লিখেছেন মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক

হামদর্দের জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত একটি মহল। এদের অনৈতিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ হারুনের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসে নেমেছে অত্যন্ত সুকৌশলে। সরেজমিন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বরাবরই এ মহলটি হামদর্দ এমডিকে ব্ল্যাকমেইল করে মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। আখেরে প্রমাণিত হয় যে, তাদের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে কৌশলী প্রচারণামাত্র। মহলটির এহেন প্রচারণায় সাময়িকভাবে হামদর্দ নিয়ে সর্বসাধারণের বিরূপ সমালোচনা হলেও পরক্ষণে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যায় হামদর্দ ও এর কর্ণধার ইউসুফ হারুন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় রয়েছেন। হামদর্দ তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে একচুলও নড়েনি। আর এমডি ইউসুফ হারুন তার দায়িত্ব-কর্তব্যকে পবিত্র আমানত মনে করে তা সম্পাদন করে চলেছেন।

হামদর্দ এর এমডিকে মানবতাবিরোধী অপরাধী বানানোর জন্য সুফি সাগর শামস নামে কথিত মানবাধিকারকর্মী এক সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করেছে। যা তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, শত মিথ্যা দিয়ে একটি সত্যকে ঢাকা যায় না, তেমনি এই সুফি সাগর সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, তিনি প্রতারণা করেছেন। এ ব্যক্তিই ইতোপূর্বে হামদর্দকে নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ দুদকে অভিযোগ দিয়ে প্রতারণার জাল বুনে নিজেকে এক গল্পকার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সুফি শামস নিজেকে পরিচয় দেন বাংলাদেশ মানবতাবাদী দলের উপদেষ্টা লিগ্যাল এইড এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা। অথচ নির্বাচন কমিশনে এ নামের কোন দলই নেই। নিবন্ধন তো দূরের কথা কোন শর্ত পূরণ করেননি তিনি। এমনকি নেই কোন দলীয় কার্যালয়। তার ব্যবহৃত ঠিকানায় গিয়ে এর অস্তিত্ব এবং কোন এনজিও বা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে এর কোন নিবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতারণার প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবেদন প্রকাশসহ মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে সুফি সাগর স্বীকার করেন, তিনি কখনোই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এমনকি হামদর্দের এমডি’র বিরুদ্ধে করা রাজাকারের অভিযোগটি বানানো বলে তার বক্তব্য ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে মিডিয়াতে সাংবাদিকদের তোপের মুখে বলেন, ‘হ্যাঁ এগুলো করে আমি প্রতারণা করেছি।’

ওয়াকফ আইন অনুযায়ী বেনিফিসিয়ারি ব্যতীত ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের মোতাওয়াল্লীর বিষয়ে অভিযোগ করার এখতিয়ার নেই। এমনকি আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটলে তা দেখার জন্য দেখার জন্য উপযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। তথাপি হামদর্দ এর সাথে কোনভাবে সংশ্লিষ্ট না থাকা সত্ত্বেও এই সুফি সাগর শামস এর অব্যাহত অপপ্রচার অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ বলে মনে করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

একই গোষ্ঠী ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে সাজানো নাটকের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সম্প্রতি এ কুচক্রী মহলের মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লক্ষ্মীপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লক্ষ্মীপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিলর সাংগঠনিক কমান্ডার সিরাজ উল্যা মনা বাকশাল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের প্রমুখ। এছাড়াও সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।