দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। বুধবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ এবং যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ছাত্রদল সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল বের করে। মিছিলটি অবকাশ ভবনের সামনে আসলে পেছন থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ ও যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফকে মারধর করা হয়।

এ দিকে ছাত্রদলের মিছিলে হামলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, জবিতে আজকেও আবরার হত্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারতো। ছাত্রদের ওপর ছাত্রদের হামলা কোন মানবিক কাজ হতে পারে না। আজকের ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জবি ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে। ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে যাবো। এরপরে ছাত্রদলের ওপর হামলা হলে উচিত জবাব দেব।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদ হাওলাদার বলেন, দুজন ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে আমাদের হেফাজতে রেখেছি। পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

জবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখব। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখবেন। যদি তারা কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বুঝিয়ে তাদের ফেরাতে হবে।