দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দুই দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও যোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পায়নি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। যাতে সময় নিয়ে আবারও এমডির খোজেঁ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটির পরিচালনা পর্ষদ।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জুলাই ডিএসইর এমডি পদ শূন্য হয়। ওই পদ পূরণে নতুন এমডির খোঁজে গত ৭ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এতে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। যেখানে ১৬ জন আবেদন করেছিলেন। তবে ওই ১৬ জনের মধ্যে কাউকেই যোগ্য মনে করেনি ডিএসইর পর্ষদ এবং নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি (এনআরসি)।

এরপরে গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় এমডির খোজেঁ বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএসই। এক্ষেত্রে আবেদন করেছিল ৩ জন। অর্থাৎ দুই দফায় ১৯ জন ডিএসইর এমডি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল। দুই দফায় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে গত ২ অক্টোবর ৭জন প্রার্থীকে সাক্ষাতকারের জন্য ডাকা হয়। পরবর্তীতে ৭ জনের মধ্যে ৩জনকে নিয়ে শর্ট লিস্ট করা হয়। যাদেরকে গত ৬ অক্টোবর ডিএসইর পর্ষদ ডাকে।

তবে ওই ৩ জনের মধ্যেও কাউকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য যোগ্য মনে করেনি পর্ষদ। যাতে যোগ্য এমডির খোজেঁ আবারও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬ অক্টোবরের পর্ষদ সভায়। এক্ষেত্রে অবশ্য স্টক এক্সচেঞ্জ সময় নিতে চায়। তারা ২-৩ মাস পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এজন্য কমিশনে সময় চেয়ে আবেদন করা হবে।

সূত্র মতে, দু’দফা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর দেশি-বিদেশি, অধ্যাপক, ব্যাংকার, নন ব্যাংকার এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ১৯ জন আবেদন করেছিলেন। এর মধ্য থেকে ডিএসইর নিয়োগ বোর্ড সাক্ষাতকারের জন্য ৭জনকে মনোনীত করেছিল।

৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের(সিএসই) সাবেক এমডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ব্যাংকার, নন-ব্যাংকার, প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্ট এবং এফসিএ ছিলেন। এমডি পদটিতে আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে বিজনেস, ইকোনোমিকস, স্ট্যাটিসটিকস, ম্যাথমেটিকস অথবা আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। আর প্রফেশনাল ডিগ্রি সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়।

তবে ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপরে আন্তর্জাতিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীর ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্ত শিথিল করা হয়। আবেদনের সময় দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে বলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের পর দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পান কে এ এম মাজেদুর রহমান। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১১ জুলাই। তারপর থেকেই পদটি খালি রয়েছে।

ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারী বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জটির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।