মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:  বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিমা শিল্প সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু এ খাতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো স্বচ্ছতা ও আস্থার অভাব। এ কারণে আম-জনতার কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি বিমা ব্যবসা। বিমা খাতের এমনই এক নাজুক অবস্থায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানী সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স গ্রাহক সেবা, বিমা দাবি পূরণ, বিনিয়োগকারীদের ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ট প্রদানসহ আস্থা অর্জনে একটি অনুসরণীয় আদর্শিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলছে।

বিমা ব্যবসায় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বহিবিশ্বের এমন নীতিকে সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করায় কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে নাম্বার ওয়ান হিসেবে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। চেয়ারপারসন শেখ কবির হোসাইন ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল খালেক মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ টীমের সুচিন্তিত, সুপরিকল্পিত, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও সৃজনশীল কর্মকৌশলের ফসল সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স বিমা ব্যবসায় ধাপে ধাপে অগ্রযাত্রায় অগ্রগামী থাকার মূল কথা।

ধারাবাহিক আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী ও সংখ্যাগত মানের উপর ভিত্তি করে সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স লিমিটেডকে ‘এএ’ ক্রেডিট রেটিং ফলাফল প্রদান করে, যা কোম্পানির অবলিখন, ভালো বিমা দাবি পরিশোধ ক্ষমতা, উন্নত আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন। তেমনি কোম্পানির সার্বিক উন্নতি অব্যাহত এবং ক্রেডিট রেটিং ফলাফল আর উন্নত হবে।

আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ রেটিং করা হয়। বিমা শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থান দখল করে নেয়ার নেতৃস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে সোনার বাংলার অবদান অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে অনন্তকাল। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে কোম্পানির চেয়ারপারসন শেখ কবির হোসাইন এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন থেকে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন ও সোনার বাংলা ইন্সুরেন্সকে সাজিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের জনশক্তিকে প্রশিক্ষিত করে তোলেন যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। সারা দুনিয়ার মতো তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে পুরো জনবলকে গড়ে তোলা হচ্ছে।

সুশাসন,স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা,নিয়মানুবর্তিতা ও সুশৃংখল পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে কোম্পানিটিতে। সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স ঝুঁকি মোকাবেলায় তহবিল বন্টন ও বিনিয়োগে সর্ব্বোচ সতর্কতা অবলম্বন করে এগুচ্ছে। কোম্পানিটি বিনিয়োগের সকল ক্ষেত্রে বেশ সফলতার সাথে অগ্রণীতে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো-বিভিন্ন মেয়াদি স্থায়ী আমানত (এফডিআর), শেয়ারে বিনিয়োগ ও এসটিডি ও সিডি ব্যাংক হিসেবে জমা। সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স হিসাবের মানদ- দেশী ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাউন্টিং পলিসি অনুযায়ী করা হয়েছে। এ কোম্পানির সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠান হলো সোনার বাংলা ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (মার্চেন্ট ব্যাংক)। যার শতকরা ৫৯ভাগ শেয়ার সোনার বাংলা ইন্সুরেন্সের রয়েছে। এটি ২০১৮ অর্থ বছরে ১,০৫,০৩,৪০১ টাকা কর পরবর্তী নীট মুনাফা অর্জন করে ।

সোনার বাংলা ইন্সুরেন্সের কোনো রিলেটেড পার্টি লেনদেন নেই। এ কোম্পানিটি সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ অতীব গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে। কোম্পানি ব্যবসাকে সমাজকল্যাণমূলক কাজে পরিচালিত করে থাকে। কর্পোরেট সোসাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এবং অসুস্থ ও অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে অবিরত।

পুনশ্চ, সোনার বাংলা ইন্সুরেন্সের এ পথচলায় কোম্পানিটি অধিক ব্যবসা এবং মুনাফা সফল হবার লক্ষে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি উন্নত সেবা প্রদান, দ্রুত বিমা দাবি পূরণ, ব্যয় সংকোচন, অবলিখন ব্যবস্থা আরো উন্নত ও পুঁজি বিনিয়োগের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। একইসাথে চেয়ারপারসন শেখ কবির হোসাইন বিশ্ব অর্থনীতিতে বিমা শিল্পকে উন্নততর ব্যবসায় স্থান করে নেয়ার যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলছেন-তিনি তাতে সফল হলে আমরা এক নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাবো।