মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি। জীবন বিমা শিল্পে এক উজ্জ্বল নাম। জাতীয় অর্থনীতিতে এ কোম্পানিটি অভাবনীয় সাফল্য আনার লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে কাজ করে চলছে অবিরত। বহুমুখী প্রতিভা, দূরদর্শী ও অভিজ্ঞ বিমাবিদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসুফ আলীর কর্মদক্ষতায় আজ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স পুঁজিবাজারে বিমা খাতের কোম্পানি হিসেবে অনন্য উচ্চতায় নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। 

পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বিমা গ্রহীতাদের গুণগত মানসম্পন্ন সেবা দানের মাধ্যমে এটি দেশের অন্যতম কর্পোরেট সিটিজেন। এই কোম্পানি লাইফ ফান্ডের সর্বাধিক সংখ্যক লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে পলিসি হোল্ডারদের সর্বোচ্চ বোনাস ও শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে নজির সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনেও এগিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও আর্তমানবতার সেবায় পপুলার লাইফের অবদান চোখে পড়ার মতো। খবর কোম্পানি সূত্রের।

সূত্র জানায়, সময়ে চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সৎ, দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে। একই সাথে ক্ষুদ্র বিমা এবং একক বিমায় নতুন নতুন সংগঠন তৈরি করে গ্রাহক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে চলতি বছরে। পাশাপাশি তামাদি পলিসি পুনঃচালুকরণের মাধ্যমে নবায়ন প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।

গ্রাহকদের সব ধরনের বিমা দাবি অতি অল্প সময়ে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়াম গ্রহণ ও দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়াসহ নানা কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে অত্যন্ত সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

সূত্রের দেয়া তথ্যে জানা যায়,পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সই সম্ভবত বিমা খাতের প্রথম কোন কোম্পানি যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সেবা প্রদান করে চলছে। বিমা দাবি পূরণসহ কর্মী ও কর্মকর্তাদের মাঝে কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে চলছে।

এছাড়া কোম্পানিটির শরীয়াহ কাউন্সিল প্রতিবেদনে কাউন্সিল চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরীর অভিমতে জানা যায়, পপুলার লাইফের ইসলামী বিমা ডিভিশন অনুসৃত নীতিমালা, ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ, লেনদেন এবং চুক্তিপত্র মোতাবেক সার্বিক কার্যাবলী পরিচালিত হয়েছে যথাসম্ভব শরিয়াহ্ কাউন্সিলের নির্দেশনা মোতাবেক।

দ্বিতীয়ত, কোম্পানির বার্ষিক ব্যালেন্স শীট পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাতে শরিয়াহ্ নীতিমালা পরিপালনে যত্নবান ছিলো। তৃতীয়ত, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে এবং তাবাররু হিসেবে শরিয়া অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

চতুর্থত, ইসলামী বিমা প্রকল্প সমূহে পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে যে বোনাস/প্রফিট বন্টন করা হয়েছে, তা শরিয়া নীতিমালা ও একচ্যুয়ারী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মাওলানা জাফরী পপুলার লাইফে পূর্ণাঙ্গ ইসলামিকরণের লক্ষ্যে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুনরায় উদ্যোক্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

পাদটীকা: বিমা খাতে দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। এ অভিমত বিমা বিশেষজ্ঞদের। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসুফ আলী এ কোম্পানিকে মানুষের আস্থায় এনে জনপ্রিয় জীবন বিমা কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকলে আশা করা যায়, অদূর ভবিষ্যতে বিমার সম্ভাবনা শতভাগ।

দেশের অর্থনীতির ভিত্ শক্তিশালী করবে এ জীবন বিমা শিল্প। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স জীবন বিমা খাতে যে আদর্শ স্থাপন করেছে তা সব কোম্পানির অনুসরণ করা দরকার। এজন্য আম-জনতার মধ্যে যেমন সচেতনতা বাড়াতে হবে তেমনি সরকারি উদ্যোগ আয়োজনও অতীব জরুরী।