দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বাংলাদেশ ব্যাংককে পুন:অর্থায়নের তহবিল থেকে ৮৯ কোটি টাকা বিতরণের জন্য চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, এই টাকা সফট লোন হিসাবে ১২টি স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বিতরণ করা হবে। অর্থায়নের পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করার জন্য কমিটি নেতৃত্বও দিচ্ছে বলে জানান তিনি। বাজার মধ্যস্তকারীরা বছরে ৪ শতাংশ সুদে পুন-অর্থায়ন তহবিল গ্রহণ করবে। এবং তারা ২০২২ সাল পর্যন্ত বাজারে এই তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো বাজার মধ্যস্তকারীর জন্য অনুমোদিত সুদের হার ২০ শতাংশের বেশি হবে না।

সাইফুর রহমান আরও বলেন, প্রায় ১৪ কোটি টাকা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ৭৫ কোটি টাকা সরবরাহের জন্য চিঠি দিয়েছি, যাতে ১২টি বাজার সত্ত্বাকে ৮৯ কোটি মঞ্জুর করা যায়। চলতি বছরের শুরুতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ৯০০ কোটি টাকা ফান্ডের জন্য আবেদন করেছিল। এর আগে আইসিবি পুন:অর্থায়নের তহবিল ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণের পর বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিয়েছিল। ওই সময় বাজার মধ্যস্তকারীরা তাদের ক্লায়িন্টদের মধ্যে পুন:অর্থায়নের তহবিল বিতরণের জন্য আবেদন করেছিল।

চলতি বছরের মে মাসে অর্থমন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকে ফান্ডের যে অলস টাকা পড়ে আছে এ সংক্রান্ত আইসিবির আবেদন অনুমোদন করে। দ্বিতীয় পুন:অর্থায়ন তহবিলের জন্য ৮৫৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল, যাতে তহবিলটি পুঁজিবাজারে ফিরে আসে। এর মধ্যে আইসিবি নিজেই ৭৬১ কোটি টাকা পেয়েছে। আর বাকী ৯৫ কোটি টাকা বাজার মধ্যস্তকারীদের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।

পুন:অর্থায়নের দ্বিতীয় স্কিমটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসাবে ব্যবহারের জন্য নয়। এই টাকা বাজার মধ্যস্তকারীরা নিজেরাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে বাজার শক্তিশালী করার জন্য এবং তাদের অবস্থান শক্ত করার জন্য। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের পর সরকার পুন:অর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহয়তা শুরু করে। তিনটি ধাপে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৯০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল। এর মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার এই ফান্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে।