দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের লাইফ-ননলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর ২০১৯ সালে গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছে ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৯ লাখ ১ হাজার টাকা। এ টাকার অংক আগের বছরের চেয়ে ৯০ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার টাকা বেশি। আর শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। কিন্তু এর আগের বছরে শতাংশের হিসেবে ১২০ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজা টাকা বেড়েছিলো। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বিশেষ প্রতিবেদনে এই চিত্র দেখা গেছে।

আইডিআরএ’র তথ্য মতে, জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর (লাইফ) এবং সাধারণ বিমা অর্থাৎ নন লাইফ কোম্পানিগুলোর মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৯ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর আয় করেছে ৯৬০ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার টাকা। আর সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর আয় হয়েছে ৩৬৮কোটি ২৭ লাখ টাকা। সরকারি-বেসরকারি, লাইফ-ননলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মিলে দেশের বিমা খাতে মোট ৭৯টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলো বিদায়ী বছরে এ আয় করেছে।

এর আগের বছর অর্থাৎ২০১৮ সালে গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছিলো ১ হাজার ২৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর আয় হয়েছিলো ৮৯৯ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার টাকা।আর নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে প্রিমিয়াম আয় হয়েছিলো ৩৩৯কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা।

তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে প্রিমিয়াম আয় হয়েছিলো ১ হাজার ১১৭কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর আয় হয়েছিলো ৮১৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬ হাজার টাকা। আর নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর আয় হয়েছিলো ২৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৩ হাজার টাকা।

বিমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমা কোম্পানির সংখ্যা অনুসারে বিমা খাতের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। আর তাতে প্রিমিয়াম আয় বাড়ছে না। তিনি বলেন, অনৈতিক কমিশন বাণিজ্য, গ্রাহকদের বিমা দাবি পরিশোধ না করায় আস্থা সংকটের কারণে ব্যাংক খাতের মত বিমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

আইডিআরএ’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস বলেন, বিমা কোম্পানিগুলোর নতুন পণ্য আনছে না। বরং একই ব্যক্তির কাছে সবাই যাচ্ছে। আর তাতে প্রিমিয়াম আয় বাড়ছে না। বিশেষ করে নতুন বিমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা সংকটে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।