দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মন আর মস্তিষ্কের একত্রে থাকার নাম একাগ্রতা। আর একাগ্রতার একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি ভালোবাসলে যেমন ভালো সময় কাটাতে পারবেন তেমনই হাজারো খারাপ সময়ের মাঝে দিয়ে যাবেন। সেই সময়ে আপনার মাঝে কাজ করবে তাকে পাওয়ার একাগ্রতা। যাতে আপনি শিখবেন কিভাবে রাগকে সামাল দিতে হয়, কিভাব মন খারাপের লাগাম টানতে হয়, কিভাবে ভালোবাসার মানুষের মনের মতো হতে হয়।

লোহা পুড়ে যেমন সোনা হয় তেমনই মানুষ পুড়ে হয় খাঁটি। ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে দিতে মন পুড়ে হয় অন্যের। মন থেকে চাওয়া কোনোকিছু হাজার কঠিন সময়ের মাঝে দিয়ে গিয়েও শেষপর্যন্ত পাওয়া যায়। মন থেকে আসা ভালোবাসা তার গন্তব্য এবং পথ ঠিক বেছে নেয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে একটি মত কিংবা একটি দিক এখন পর্যন্ত কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি। তা হচ্ছে একজন প্রেমিক বেশি ভালোবাসে না একজন প্রেমিকা।

ভালোবাসার ক্ষেত্রে বলা হয় মেয়েরা অল্পতেই দুর্বল হয়ে যায় আর ছেলেদের একটি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এরপরে হাজার চেষ্টাতেও নিজেকে আটকে রাখা যায় না। আর মন থেকে যখন ভালোবাসা আসে তখন পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে আটকে রাখতে পারেনা। ছেলেদের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন। মন থেকে যখন তাদের মাঝে এই ভালোবাসা নামক ফুল ফোটে তখন তার কাছ থেকে তার প্রেয়সীকে কেউ আলাদা করতে পারেনা।

ভালোবাসার মানুষকে সম্মান : একটি পুরুষ যখন প্রেমে পরে তখন তার মাঝে অনেক কিছু কাজ করে। মেয়েটি সম্পর্কে নানা কৌতুহল থেকে শুরু করে নানা দিক। তবে একটি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে ছেলেটি মেয়েকে ভালোবাসে কি না। যদি ছেলেটি সম্পর্কে থাকা অবস্থায় মেয়েটিকে যথেষ্ট সম্মান এবং তার বেটার হাফ হিসেবে মর্যাদা দেয় তবেই কেবল বোঝা সম্ভব যে মেয়েটিকে ছেলেটি মন থেকেই ভালোবাসে।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা : বর্তমান সময়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার থেকে কঠিন। আপনি চোখের পলকে তার থেকে দূরে সরে যেতে পারছেন, কিন্তু ভালোবেসে হাত ধরে আজীবন থাকতে পারছেন কি! সম্পর্কের শুরুতে অনেক ছেলেই বড় বড় কথা বলে থাকে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা নানা ওয়াদা করে থাকে। কিন্তু তা রক্ষা করে হাতে গোনা কিছু পুরুষ। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রবল ইচ্ছা আর শক্তি যে ছেলের মাঝে আছে সে ছেলে মেয়েটিকে সত্যিকার অর্থে মন থেকে ভালোবাসে।

মানসিক ভাবে সুস্থ রাখা : বেশির ভাগ সম্পর্কেই একপক্ষ না একপক্ষ মানসিকভাবে চাপে থাকে। এই চাপ হারিয়ে যাওয়ার, তাকে ভুলে যাওয়ার কিংবা সম্পর্কে নানা ঝামেলার। আপনি যখন আপনার প্রেমিকাকে নানাভাবে মানসিক চাপে রাখেন তখন সে না পারে আপনার সাথে ভালোভাবে কথা বলতে না পারে আপনার মতো হয়ে চলতে। আর ফলাফল যা হয় তা হচ্ছে সম্পর্ক শেষ। তবে যে পুরুষ তার প্রেমিকাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে সে তাকে সব সময় মানসিকভাবে প্রাণবন্ত রাখবে আর তাকে আশ্বস্ত রাখবে যে সে সবসময় তার পাশে আছে।

সিদ্ধান্ত নেওয়া : ভালোবাসার ক্ষেত্রে যত ছোট কিংবা যত বড় সিদ্ধান্ত হোক মেয়েটি চায় তার প্রেমিক তাতে তার মত দিক। তাকে সাহায্য করুক তার মতামতের মাধ্যমে। একটি সম্পর্কে যখন ছেলেটি মন থেকে আসে কিংবা তার মাঝে মন থেকে ভালোবাসা জন্মায় তখন এই ছোট ছোট বিষয়ে তার প্রেমিকাকে তার কাছে সাহায্য না চাইতেই করে থাকে।