দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মন্দার মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এই মন্দা বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটের লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনর পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনে অংশ নেয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ২২৯টি শেয়ার ৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে ৪৪ প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৮৯টি শেয়ার ৬০ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর ব্লকে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১০টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমলেও লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ১ হাজার টাকা বা ৪৮ শতাংশ । গত সপ্তাহে ব্লকে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ব্যাংক এশিয়া, ম্যারিকো, আইডিএলসি, এমএল ডাইং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, রেনেটা এবং জেনেক্স ইনফোসিস।

এছাড়া ব্লকে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- এসকে ট্রিমস, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, মিরাকল, আমান ফিড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, নর্দার্ন জুট, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, মালেক স্পিনিং, কুইনসাউথ টেক্সটাইল, নাভানা সিএনজি, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং এবং ন্যাশনাল পলিমার।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্লকে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার, বিএসআরএম’র ৩ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার,

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার, লাফার্জহোলসিমের ৩ কোটি ৩০ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ২ কোটি ৩১ লাখ ৮৮ হাজার, ব্যাংক এশিয়ার ২ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার এবং ম্যারিকোর ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে- আইডিএলসির ৯৪ লাখ ২২ হাজার, এমএল ডাইংয়ের ৮৮ লাখ ৫০ হাজার, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৭৭ লাখ ৮০ হাজার, রেনেটার ৭৫ লাখ ১৯ হাজার, জেনেক্সের ৭২ লাখ ৬৫ হাজার, এসকে ট্রিমসের ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪৮ লাখ ৯০ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৩ হাজার, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ২৮ লাখ ৪৮ হাজার এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এককভাবে ২০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- সী পার্লের ১৮ লাখ ১৩ হাজার, মিরাকলের ১৫ লাখ ৪১ হাজার, আমান ফিডের ১৫ লাখ ৩৩ হাজার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ১৫ লাখ ৬ হাজার, নর্দার্ন জুটের ১৩ লাখ ২৮ হাজার, ইন্ট্রাকোর ১২ লাখ ৫২ হাজার, মালেক স্পিনিংয়ের ৭ লাখ ২৫ হাজার, কুইনসাউথ টেক্সটাইলের ৬ লাখ ৪৪ হাজার, নাভানা সিএনজির ৫ লাখ ৭৮ হাজার, সিলভা ফার্মার ৫ লাখ ৭৩ হাজার, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ৫৩ হাজার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ৫ লাখ ৩৭ হাজার এবং ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।