দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বহূজাতিক কোম্পানির চাহিদা থাকলেও ২০০৯ সালের পরে এ জাতীয় কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এতে সূচক, লেনদেন এবং বাজার মূলধনে একটি মাইলফলক সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এই কোম্পানির তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে এবং বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে এই ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা নতুন করে আশার আলো দেখছেন। তেমনি স্থিতিশীল ও পুঁজিবাজার চাঙা করতে ভালো কোম্পানিগুলোর বাজারে আসার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা।

কারন বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ভালো মৌল ভিত্তি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার বিকল্প নেই। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বাইরের বড় কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এক্ষত্রে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পিএইচপি গ্রুপ, রবি ও ‘ওয়ালটনের’ এর মতো বড় কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারের গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি খোদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও মনে করেন, দেশের পুঁজিবাজারকে চাঙা করতে হলে ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে ফিরিয়ে আনতে হবে। এদিকে, সম্প্রতি এক সভায় প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট কাটছে না।’

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারকে চাঙা করার জন্য দেশের স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। তাদের মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্যই পুঁজিবাজারে আসতে হবে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের মতো ভালো কোম্পানিগুলোকে। গত মাসের প্রথমদিকে এক আলোচনা সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুঁজিবাজার চাঙা করতে শিগগিরই বাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে লাভজনক সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি আরো সরকারি ও বেসরকারি ভালো প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমকর্তারা।

এদিকে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব দূর করার লক্ষ্যে বাজারে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ওয়ালটন। এরইমধ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটনের বিডিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে ব্যয় করা হবে এই অর্থ। পুঁজিবাজারে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আসছে শুনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এরইমধ্যে ওয়ালটনের শক্তিশালী আর্থিক প্রতিবেদনের নিরিখে কোম্পানির কাট অব প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৩১৫ টাকা।

শেয়ারবাজারে দেওয়া কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩৫২ কোটি টাকা, টার্নওভার ছিল ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটনের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে ২৯০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে ওয়ালটনের টার্নওভার ছিল ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকার রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

টার্নওভার ও মুনাফা বৃদ্ধিতে এই অসাধারণ সাফল্য অর্জনের পেছনে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ ব্যাপক অবদান রেখেছিল বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের হেড অব অ্যাকাউন্স ইয়াকুব আলী। এর মধ্যে রয়েছে, দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন সেলস আউটলেট (ওয়ালটন প্লাজা) চালুর পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রি ব্যাপক বেড়ে যাওয়া, বিক্রি বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যের একক প্রতি উৎপাদন ব্যয় কমে যাওয়া, সময়োপযোগী বিপণন কৌশল, বিক্রয়োত্তর সেবাকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা; ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে পণ্য ক্রয়ে বাড়তি সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি।

ওয়ালটনের হেড অব অ্যাকাউন্স আরও জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সকে ওয়ালটন হাই-টেকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ফলে আলোচ্য বছরে স্বাভাবিকভাবেই ২০১৭-১৮ বছরের তুলনায় কোম্পানির টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে। কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটন হাইটেকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার কাছে পণ্য বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০২ কোটি টাকার। একই বছরে ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির রিসিভাবল অ্যামাউন্ট ছিল ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতীম দাশ বলেন, ‘২০১৮-১৯ বছরে উল্লেখযোগ্য নতুন প্লাজা চালু করায় আগের অর্থবছরের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই প্লাজার কাছে ওয়ালটনের রিসিভাবল অ্যামাউন্টের পরিমাণ বেড়ে গেছে। নতুন প্লাজা চালুর পরিপ্রেক্ষিতে টার্নওভারও বেশ ভালো বেড়েছে। ওয়ালটন প্লাজার কাছে যে পণ্য বিক্রি করা হয়—তার আংশিক মাত্র বাকি থাকে। এটি অস্বাভাবিক নয় ‘ ২০১৭-১৮ মুনাফা কম হওয়ার পেছনে কোম্পানি সচিব যুক্তি দেখিয়ে বলেন ‘২০১৮ সালে দেশে বন্যা হয়েছিল। যে কারণে ব্যবসা খারাপ গেছে। ওই সময় শুধু ওয়ালটনেরই নয়, ইলেকট্রনিক্স খাতের সবারই ব্যবসা খুব খারাপ হয়েছিল।’

কোম্পানি সচিব বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা অটোমেশনে এসেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশকিছু গ্লোব্যাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের পুঁজিবাজার খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। এ অবস্থায় সাধারণ জনগণকে ওয়ালটনের উন্নয়ন অংশীদার করতে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

এ বিষয় জানতে চাইলে ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করে কার্যক্রম পরিচালনা করায় টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ ধরনের সেলস নেটওয়ার্ক। প্লাজা, পরিবেশক, করপোরেট, অনলাইন ও আন্তর্জাতিক বিপণন মাধ্যম। ইতোমধ্যে, ওয়ালটন ফ্রিজের সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চ গুণগতমান, নিঁখুত ফিনিশিং ও অসংখ্য বিচিত্র মডেল থাকায় দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ ক্রেতার আস্থা জয় করে নিয়েছে। ফলে, গত অর্থবছরে ১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকার রেফ্রিজারেটর বিক্রির বিশাল মাইলফলক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল ওয়ালটন।’

উল্লেখ্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালুর পর থেকে চলতি বছরসহ টানা ১৪ বছর ধরে প্রথম পুরস্কার পেয়ে আসছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন তৈরি করে প্রায় প্রতি বছরই পুরস্কৃত হয়ে আসছে ইলেক্ট্রনিক্স খাতের এই জায়ান্ট কোম্পানিটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়ালটন পেয়েছে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি। যার মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘ফার্স্ট এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ২০১৮ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক, বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৫, গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ এবং ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ উল্লেখযোগ্য।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এই খাতকে গতিশীল ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। তেমনি বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর বহুমুখী উদ্যোগে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করবে। তেমনি স্টেক হোল্ডারদের সক্রিয়তাও এতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তারা। তবে, এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই পুঁজিবাজারের নীতি-নির্ধারকদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে পারলে এই খাতের গতি ফিরবে বলেও মনে করছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজার ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও শেয়ারবাজার ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাত থেকে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ছে না। এই খাতে সুফল পেতে হলে দেশি-বিদেশি বড় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ওয়ালটনসহ দেশের বড় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত তালিকাভুক্ত করতে হবে বলেও বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।

দেশে অনেক ভালো ভালো কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো পুঁজিবাজারে এলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের বিকল্প নেই। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অনেক ভেবেচিন্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। বেশিরভাগ সময়ই তারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন। ফলে তাদের লোকসান কম হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে লাভ পেতে হলে, ভালো কোম্পানিকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে হবে। বড় কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে হবে। গত ১০ বছরের মধ্যে কোনো ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। ২০০৯ সালে সর্বশেষ একটি বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। এরপর আর কোনো কোম্পানির আগ্রহ দেখছি না। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে হবে। আরো পরিষ্কার করে বললে অর্থমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’ বড় কোম্পানিগুলো বাজারে এলে কী ধরনের সুফল মিলবে এমন

এক প্রশ্নের জবাবে আবু আহমেদ বলেন, ‘সুফল অনেক। সবচেয়ে বড় বিষয়ে হলো, বাজারের আকার বাড়বে। ফলে গ্যাম্বলিং সম্ভব হবে না। হাই রিটার্ন অব ইক্যুইটি (আরওই) আসবে। বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন।’

এ বিষয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগের তুলনায় পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র, বড় প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটি ইতিবাচক। এই হার আরও বাড়াতে হবে। তাহলে বাজার স্থিতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবে, দেশের ভালো কোম্পানিগুলোকেও আনা যাবে। ’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। আমাদের দেশে উদ্যোগ নেওয়া হলেও বড় কোম্পানিগুলোকে এখনো পুঁজিবাজারে আনা হয়নি। অন্যদিকে দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোর কথা যদি বলি, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পিএইচপি গ্রুপ, ওয়ালটন বড় ও ভালো কোম্পানি।’ এই কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আহমেদ রশিদ লালী উদাহরণ টেনে বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। আমাদের দেশে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তারা এখনো পুঁজিবাজারে অনুপস্থিত। অন্যদিকে দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোর কথা যদি বলি, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পিএইচপি গ্রুপ, ওয়ালটন এরা বড় এবং ভালো কোম্পানি। এরাও পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে পারে।’

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বাজারে সব সময় আছে। এ জন্য বাজার স্থিতিশীল করতে হলে আইপিওর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি লাভজনক কোম্পানি বাজারে আনার ব্যবস্থা করা উচিত।