দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে বড় অর্থনীতির দেশগুলো ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বুধবার (১৮ মার্চ) এশিয়ার শেয়ারবাজার কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতায় ঘুরতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ এর বিপরীতে চিত্রে অবস্থান করছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের এক লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা তহবিলের ঘোষণায় মঙ্গলবার ওয়ালস্ট্রিটের সূচকগুলো ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাবে আজ সকাল থেকেই ইতিবাচক এশিয়ার শেয়ারবাজারও। লেনদেনের শুরুতে জাপানের নিকেই ২২৫ বেড়েছে ১.৪ শতাংশ। এছাড়া চীনের সাংহাই কম্পোজিট ১.২ শতাংশ এবং হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ০.৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে এক লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ হাজার কোটি ডলার নাগরিকদের সরাসরি অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে হোয়াইট হাউস। কী পরিমাণ অর্থের চেক একজন পাবেন, কার অগ্রাধিকার—এসব বিষয়েও আলোচনা চলছে। আর এর প্রভাবই পড়েছে শেয়ারবাজারে।

এশিয়ার অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়ালেও বাংলাদেশে সম্পূর্ণ এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বুধবার বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় পতনে রূপ নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। দুপুর দুইটা ২০ মিনিট সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭৮ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৭৫ পয়েন্ট পরেছে।