দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বকেয়া বেতনের দাবিতে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শতাধিক হ্যাচারি শ্রমিকরা মুন্সিগঞ্জ-নীলডুমুর সড়ক অবরোধ করে সোমবার বিক্ষোভ করেন। পরে তাদের সরিয়ে দেয় র‍্যাব ও পুলিশ। এ ঘটনায় রাগান্বিত ও বিব্রত হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, ফার্ম ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সেই ব্যক্তির ভুলেই দুই মাস ধরে বেতন পায়নি শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে সাকিবের ব্যক্তিগত ম্যানেজার সোহান জানিয়েছেন, সাকিবের মালিকানাধীন ফার্মটির ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন পাভেল। ডিসেম্বরের পর সাকিব সরাসরি তদারকিতে ছিলেন না, পাভেলই সার্বিক বিষয় দেখভাল করতেন। বিগত সময়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অনেকটাই নির্ভর ছিলেন সাকিব।

তবে গত কয়েক মাস ব্যবস্থাপকের হেয়ালিপনায় আটকে থাকে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক। বিষয়টি জানতেন না সাকিব নিজেও। গণমাধ্যমে ৪ মাসের বেতন বকেয়া উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ২ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

সোহান আরো জানান, এই ঘটনায় সাকিব নিজেও বিব্রত বোধ করছেন। তবে শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বোনাসসহ আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই হ্যাচারি শ্রমিকদের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটপূর্ণ সময়েও চলবে।

সোহান আরও বলেন, গত ডিসেম্বরে সাকিব ভাইয়াসহ আমরা সবাই গিয়েছিলাম। তখন শীত ছিল, আমরা শ্রমিকদের শীতবস্ত্রও দিয়ে এসেছি। সবই ঠিকঠাক ছিল। গত ৩ মাস যোগাযোগ করিনি আমরা। এই সময়েই ব্যবস্থাপক পাভেল সবকিছু করেছে। আমরা বিষয়টি সুরাহা করেছি। ঘটনা জানার পর সাকিব ভাইর বাবাও সেখানে ছুটে গিয়েছেন। নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে ৩০ তারিখের মধ্যে ঈদের বোনাসসহ বেতন দিয়ে দেয়া হবে।

দুই বছর ঠিকভাবে সব চলছিল দেখে গত কিছুদিন আমরা খোঁজ নেইনি। এই সুযোগও ব্যবস্থাপক কাজে লাগিয়েছে। এখন থেকে সেখানে আমাদের নিজেদের লোক থাকবে। শ্রমিকদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেটি নিশ্চিত এখন থেকে আমরাই করবো।

আমাদের প্রোডাকশন চলবে। আমাদের অনেক টাকা আটকে আছে। এই পরিস্থিতিতে আটকে থাকতেই পারে। তাই বলে যারা কাজ করছে তারা টাকা পাবে না, এমন তো না। ফার্মের ব্যবস্থাপক পুরো বিষয়টা আমাদের কাছে লুকিয়েছে। সাকিব ভাইয়াসহ আমরা সবাই এই খবরে রাগান্বিত, আমাদেরও মন খারাপ। দেশের এই অবস্থায় আমরা যেখানে অন্যদের সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি তখন আমাদের এই অবস্থা- এটা লজ্জাজনক।