দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।  এর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির ইপিএসে চমক আসছে। কোম্পানিগুলো হলো: রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, জেএমআই সিরিঞ্জেস,  গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, সামিট পাওয়ার, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড।

রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রির পরিমাণ (Revenue), পরিচালন মুনাফা, নিট মুনাফা, শেয়ার প্রতি আয় -সবই বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত প্রান্তিকে রেকিট বেনকিজার ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। আগের প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ২৪ টাকা ৪ পয়সা।

আগের প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১৫ টাকা ৪৬ পয়সা। সর্বশেষ প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ১০০ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ৪৭ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬৬ টাকা ৬৮ পয়সা।

জেএমআই সিরিঞ্জেস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ প্রান্তিকে জেএমআই সিরিঞ্জেস শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর একই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৮ পয়সা

তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ২ টাকা ৪৪পয়সা ছিল। তিন প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ঋণাত্মক ৬ টাকা ৭৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১১৭ টাকা ১১ পয়সা।

গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত প্রান্তিকে গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৪ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১১ টাকা ৬ পয়সা। আর কন্টিনিউয়িং অপারেশন হিসেবে ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৫ টাকা ৭৭ পয়সা।

প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে তা ২৮ টাকা ২৯ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৪৭ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের ৩১ মার্চে এনএভিপিএস ছিল ১১৫ টাকা ১৬ পয়সা।

সামিট পাওয়ার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ প্রান্তিকে এসপিএল শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। গত বছর একই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২ পয়সা। তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা ছিল।

তিন প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৭ টাকা ২৩ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০ টাকা ৪৭ পয়সা।

সিঙ্গার বাংলাদেশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন শেষে তা প্রকাশ করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটি সমন্বিতভাবে তথা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ শেয়ার প্রতি নীট আয় (Consolidated EPS) করেছে ১ টাকা ১১ পয়সা। আগের প্রান্তিকে তা ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে সিঙ্গারের ইপিএস (Solo EPS) হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের প্রান্তিকে ১ টাকা ২৯ পয়সা ছিল।

গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৫ টাকা ৪৯ পয়সা। আর এককভাবে এনএভিপিএস ছিল ৩৩ টাকা ১৫ পয়সা। আলোচিত প্রান্তিকে সিঙ্গারের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) ছিল কিছুটা ঋণাত্মক।

এর পরিমাণ ছিল সমন্বিতভাবে ১২ টাকা ৬ পয়সা আর এককভাবে মাইনাস ১৫ টাকা ৩৭ পয়সা। সর্বশেষ হিসাববছরে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১০ টাকা ৩৫ পয়সা।