দেশ প্রতিক্ষণ, চট্টগ্রাম: করোনা নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের ভর্তি না নেওয়া, চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়ার মতো মর্মন্তুদ ঘটনার পর সরকারের কঠোর অবস্থানের সিদ্ধান্তে এবার নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামে এখন থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা কোন রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেরাবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলো।

একই হাসপাতালে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান এসব কথা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে করোনা নেগেটিভ হওয়া বেশ কয়েকজন শ্বাসকষ্টের রোগীকে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি না নেয়ার বিষয়ে চানতে চাইলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন ডা. লিয়াকত আলী। তিনি ম্যাক্স হাসপাতালেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

করোনা নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের ভর্তি না নেওয়ার বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোন অঘোষিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আর কোন রোগী ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই, করোনা হলেও না।’

‘এর আগে তো করোনা সাসপেক্টেড হলে ভর্তি নেওয়া হতো না। এখন থেকে অবশ্যই অবশ্যই ভর্তি নিতে হবে, সাসপেক্টেড কেস হলে আলাদা করে রাখবে। তার ওপর এখন সরকার থেকে নতুন নির্দেশনা এসেছে পজিটিভ হলেও ওখানে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে’ বললেন ডা. লিয়াকত আলী।

তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতাল লকডাউনের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে একটা বুমেরাং ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসাধীনদের কারও মধ্যে করোনা পাওয়া গেলে লকডাউন করা হতো। এখন আমরা বলেছি যে লকডাউন করা যাবে না, ডাক্তারদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া যাবে না। এভাবে হলে তো হাসপাতাল শূন্য হয়ে যাবে। তখন হাসপাতাল কে চালাবে?’

গত কয়েকদিনে নগরবাসীর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা হাসপাতালের একটা ঘটনা আমরা শুনেছি। কিন্তু ওরা জানতো না, মানে ডাক্তাররা জানতো না যে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেসেজটা তাদের কাছে পৌঁছে নাই।’সুত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন