ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ২ টাকা করে পাবেন। লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথমার্ধের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি 

করোনা মহামারির মধ্যেও এই অর্ধেক কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উন্নতি হয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

রও পড়ুন…

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ আগস্ট। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৪ টাকা ৮৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৯ পয়সা।

রও পড়ুন…

ফ্লোর প্রাইস নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই: অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত 

পৃথিবীর একমাত্র পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর বাড়লেই তদন্ত! 

পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগের সঠিক সময়, লেনদেনে চমক আসছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ার দাম যতখুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।

এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫৩ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকের ব্যবসায় ভালো মুনাফা হওয়ায় অর্ধবার্ষিক হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫১ পয়সা।

মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪৪ টাকা ৯ পয়সা। এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ার প্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৬ পয়সা।