ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা ৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান্ন মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শুন্য ঘোষণা করেছেন সংসদ সচিবালয়। ফলে এই আসনটিতে উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা। মহামারি করোনার কারণে প্রার্থীর এতদিন মাুঠে না নামলে এখন কিছুটা নেমে পড়ছেন। তবে কোরবানী ঈদের পর থেকে মাঠে প্রার্থীদের পদচারণায় পুরোদমে চলবে বলে নেতাকর্মীরা জানান দিয়েছেন। প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার পর এবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কে আসছেন এটাই দেখার বিষয়।

রও পড়ুন…

টিকটক লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে ! 

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের অর্ধডজন সম্ভাব্য প্রার্থী। করোনার মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করাতে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি। এসব কর্মসূচির আড়ালে থাকছে নিজেদের দলের প্রার্থীতা ঘোষণাও। সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে নীরব প্রচারনায় নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। তবে এ সংসদীয় আসনটিতে রাজনৈতিক গ্রুপিং অনেক বেশি।

অনেক প্রার্থী নিজেদের গ্রুপিং ঠেকাতে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহে আলম মুরাদকে চাইছেন। ঢাকা ৫ এ সংসদীয় আসনে শাহে আলম মুরাদের জনপ্রিয়তাও রয়েছে শীর্ষে অবস্থানে। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে প্রাণ ভরে ভালবাসেন।যার প্রমাণস্বরুপ বিগত জাতীয় নির্বাচন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে তাঁর বিশেষ মনিটরিংয়ে সকল নেতাকর্মীদের আন্তরিক কাজের ফলাফল দলের বিজয়।তাই কর্মীদেরও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে শাহে আলম মুরাদের নাম।

এ ব্যাপারে শাহে আলম মুরাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাঁকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবেন আর সর্বোপরি দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করবো। ১৬ জুলাই ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী সভাপতি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জনেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী ও গনতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস। এক স্মৃতি চারনে মোহাম্মদ শাহে আলম মুরাদ বলেন, ২০০৭ সালের এইদিনে ভোরবেলা ধানমন্ডির সুধাসদন বাসা থেকে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ( মঈনুদ্দিন- ফখরুদ্দিন) গংরা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সি এম এম আদালতে। নেত্রীর গ্রেফতারের সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক আমি ছুটে যাই কোর্ট প্রাঙ্গনে। পথিমধ্যে আমি প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দদের মুঠোফোনে কোর্ট প্রাঙ্গনে আসার নির্দেশ প্রদান করি। হাজার হাজার নেতা কমীদের নেতৃত্ব দিয়ে কোর্ট প্রাঙ্গনে নেত্রীর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করি।

নেত্রীর মুক্তির দাবীতে মূর্হুমূর্হু শ্লােগানে সে কোর্ট প্রাঙ্গন ও রাজপথ ছিল উত্তাল। সেদিন নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে আর আমার কঠোর অবস্হানের প্রেক্ষিতে আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ১ নন্বার আসামী করা হয় এবং গ্রেফতার করার জন্য আমার এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় তল্লাশি চালায়। আমাকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধ অসুস্হ মা ও আমার সহ-ধর্মিনী এবং আমার একমাত্র ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে বাসা সিলগালা করে দেয়। নেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সাবজেল ও বিশেষ আদালতে নেতা- কর্মীদের নিয়ে আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষ হই।

পরবর্তীতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে নেত্রীর মুক্তির সহায়ক অবস্হান তৈরী করতে সক্ষম হই। সেই দূর্বিসহ দিনগুলোতে যেসব নেতা- কর্মীবৃন্দ আমার সাথে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন আমি তাদের কে আন্তরিক ধন্যবাদ, সংগ্রামী অভিবাদন জানাই। পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমাদের নেত্রীকে পরিপূর্ণ সুস্হ রাখেন এবং সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ দেন ও দীর্ঘায়ু দান করেন।

উল্লেখ্য, শাহে আলম মুরাদ স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরকারি কর্মকতা ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে গোবিন্দপুর হিজলা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের উজ্জ্বীবিত নেতা কর্মী ও সংখ্যালগু হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সকল সময় কাজ করেছেন। অসহায় ও গেরিলা বাহিনীর লোকজনকে তার সামর্থ অনুযায়ী ধান চাউল নগদ টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন। ১৯৭০/১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বাড়িতে ছিলো গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর আশ্রয় স্থান।

’৭৫ পরবর্তী সময়ে যখন কেউ ছাত্রলীগ করার সাহস পেত না। ঐ সময় তিনি ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারক ছিলেন। এজন্য তাকে অনেকের রোষানলে পড়তে হয়েছে। হয়েছেন অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার, হামলা, মামলা ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। এরপর আস্তে আস্তে রাজনীতির চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি যখন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তখন সারাদেশে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি হামলার শিকার হন, আর মামলা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন।

এরপর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন অনেকদিন। রাজপথে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এরপর আস্তে আস্তে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাথে, রাজপথে লড়াই সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষার পুরষ্কার স্বরূপ অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের দুঃসময় বিশেষ করে ১/১১-এর সময় থেকে তিনি তখন রাজপথে সামনে থেকে লড়েছেন নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে। ঢাকার জজ কোর্ট থেকে প্রথম যে মিছিল হয়েছিল, তিনি তার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ১ নাম্বার আসামি ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকার ১৪দলের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কিছু অসাধু লোক সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের সাথে যোগসাজশে লিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান অফিসে তালা ঝুলিয়ে ছিলো। কর্মীবান্ধব নেতা শাহ আলম মুরাদের নেতৃত্বে কর্মীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের তালা ভেঙ্গে দলীয় অফিস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা সবাই মনোনয়ন পেতে যে যার মতো করোনায় বেকার হয়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। নেতা-কর্মীরাও তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন রকম স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এর দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।

এশিয়ান গ্রুপ ও এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক হারুন অর রশিদ (সিআইপি) গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। হারুন অর রশীদ জানান, সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাকে মূল্যায়ন করে অবশ্যই মনোনয়ন দেবেন।

মহাজোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি আব্দুস সবুর আসুদ। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জড়িত। রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য বার। তিনি ডেমরা মাতুয়াইল ঐতিহ্যবাহী মীর পরিবারের প্রকৌশলী মীর আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে।এলাকার সামাজিক, ধর্মীয় শিক্ষা খাতে রয়েছে তার ব্যাপক উন্নয়ন। এছাড়া সৎ শিক্ষিত ক্লিনম্যান হিসেবে রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম। তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার উপ-নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন। মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আশা করি এই আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দেবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের পুত্রবধূ সুলতানা কামালের ভাতিজি মেহরীন মোস্তফা দিশি এই আসন থেকে একমাত্র নারী প্রার্থী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তরুণ, সৎ, শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আমি মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী।

প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন হারুনুর রশীদ মুন্না বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে অসংখ্যবার জেলে যেতে হয়েছে। হরতাল সফল করতে গিয়ে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। সেই সময়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দেখতে হাসপাতালে যান। দলীয় কর্মকাণ্ড আমার অবদানের জন্য দল আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি।

ছাত্রলীগের সাবেক তুঁখোর ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন রাজনীতিতে রয়েছে ক্লিন ইমেজ। কারুল হাসান রিপন জানান, দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন সময়ে নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়েছে। নেত্রীর তরুণ নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে আমি আশাবাদী।

ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭০নং ওয়ার্ডের দুই বার নির্বাচিত কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক, তার বাবা আবুল গফুর এলাকায় একজন সমাজ সেবক ও দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেই সুবাধে তিনি স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদরাসা, রাস্তা ঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তার রয়েছে অনেক অবদান। এছাড়া ডেমরা এলাকায় একক প্রার্থী হওয়ায় বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছেন তিনি।  আতিকুর রহমান আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নসহ ঢাকা-৫ আসনকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রার্থী ছিলেন। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের আন্দোলনের মাধ্যমে তার আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু হয়। দলের জন্য রয়েছে তার অনেক অবদান।

মনিরুর ইসলাম মনু বলেন, আমার দলীয় কর্মকান্ড ও ভূমিকা মূল্যায়ন করে গত নির্বাচনে মনোনয়ন বোর্ডে আমার নাম ছিল। এ বছর নেত্রী অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশাবাদী। ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এবারও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। এলাকায় রাজনীতিতে রয়েছে তার বেশ সুনাম।

অন্যদিকে সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা স্বজল নির্বাচনে প্রর্থী হবেন এবং তাকেই মনোনয়ন দেবে দলীয় ভাবে এমন প্রত্যাশাও রয়েছে ঢাকা-৫ এর জনগণের মাঝে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মশিউর রহমান মোল্লা স্বজল বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং চার চার বার নির্বাচিত হয়েছেন। আমি মনোনয়ন পেলে বাবার অসামাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করব ইনশাল্লাহ।