দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুশাসন আনার লক্ষ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারে বিক্রয়, হস্তান্তর ও প্লেজ বন্ধসহ নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিএসইসির ৭৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

রও পড়ুন…

‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে বিএসইসির নতুন নির্দেশনা 

স্টক এক্সচেঞ্জের (সেটেলমেন্ট অব ট্রান্সসেকশন) রেগুলেশনস, ২০১৩ এর প্রয়োজনীয় ধারা সংশোধনপূর্বক বিভিন্ন কারনে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এরমধ্যে পরপর ২ বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ব্যর্থ কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। আর পরপর ২ বছর এজিএম আয়োজন করতে ব্যর্থ কোম্পানিও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। আগামী রোববার থেকে জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন টি প্লাস থ্রি (T+3) ভিত্তিতে নিষ্পন্ন হবে। এতদিন এই ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি হতো টি প্লাস নাইন (T+9) ভিত্তিতে।

রও পড়ুন…

আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমানোর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে এই ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার কেনার চতুর্থদিনে বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে ওই শেয়ার জমা হবে। একইভাবে কেউ শেয়ার বিক্রি করলে চতুর্থ দিনে তার টাকা পাবেন। এতদিন দশম দিনে শেয়ার বা টাকা পাওয়া যেত। বর্তমানে জেড ক্যাটাগরি ছাড়া বাকি সব ক্যাটাগরির (এ, বি ও এন) শেয়ার লেনদেনের নিষ্পত্তি হয় টি প্লাস ২ ভিত্তিতে। দূর্বল শেয়ার নিয়ে কারসাজি কমানোর লক্ষ্যে ২০১৩ সালে জেড ক্যাটাগরির লেনদেন নিষ্পত্তির সময় বাড়িয়ে টি প্লাস নাইন করা হয়।

স্টক এক্সচেঞ্জের স্যাটলমেন্ট অব ট্রান্সজকশন রেগুলেশন, ২০১৩ অনুসারে কোনো কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা না করলে, লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থ হলে, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বা ব্যবসা বন্ধ থাকলে অথবা কোম্পানির পুঁঞ্জিভুত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। লেনদেন সহজ করার ফলে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে বাজারে কারসাজির মাত্রা বেএ যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।