দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বর্তমানে আইটি বিভাগে যারা আছেন, তারা আপগ্রেড না। তাদের পক্ষে বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইটি বিভাগকে সাপোর্ট দেয়া সম্ভব না। বিষয়টি বারবার বলে আসছি, কিন্তু কোন না কোনভাবে কার্যকরি করতে পারছি না।

রও পড়ুন…

ছয় ইস্যুতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাস 

ডিএসই’র ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটিতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি 

আজ আমি প্রেসিডেন্ট বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলে, ৬ মাসের মধ্যে সকল সিস্টেম পরিবর্তন করে দিয়ে একটি যুগোপযোগি ও আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত করে মার্কেটকে সাপোর্ট দিতাম। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব বলেছেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ডিএসইর ওয়েবসাইট ভোগান্তিতে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছে। যেখানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে সবাই বাজারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে এবং বিনিয়োগকারী আসছে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে লেনদেনের মূল প্লাটফর্ম ডিএসইতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ওর্ডার ম্যানেজমেন্ট ফেইল করেছে, স্লো হয়ে গেছে এবং ওয়েবসাইটটি আরও দূর্বল হয়ে গেছে। যেখানে আরও স্ট্রং হওয়ার কথা।

ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, যখন মার্কেটে লেনদেন বাড়ে, তখন আইটি সিস্টেম আরও স্ট্রং হবে। আমি ও শাকিল রিজভী যখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন ভারত থেকে একটি সফটওয়্যার এনেছিলাম। যা দিয়ে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করা হলেও কোন সমস্যা হয়নি। অথচ আমরা এখন নাসডাকের সঙ্গে থেকেও ডিএসইর আইটি বিভাগ কি করছে জানি না। বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

ডিএসইর ওয়েবসাইট ভোগান্তির সঙ্গে নিজেদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান রকিবুর রহমান। তাই ভুল না বোঝার জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে শেয়ারহোল্ডার পরিচালকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

ডিএসইর ভিতরে যে অরাজকতা ও ইরেগুলেটরি চলছে, তা খতিয়ে দেখতে বিএসইসিকে অনুরোধ করেছেন রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, ডিএসইর
সি’ গ্রুপ হল চুক্তিভিত্তিক চাকরী। যেটাকে ২০১৫ সালে রেগুলার সার্ভিসে রুপান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে পে স্কেলটি পরিবর্তন করে তাদের সুযোগ সুবিধা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এগুলো বলতে গেলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন, তারা কিভাবে সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিএসইতে কোন প্রফেশনাল লোক খুজে পাচ্ছি না। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে গ্রোথ শেয়ারবাজার পাব না। কোনদিন স্লো হবে, কোনদিন ওয়েবসাইট সমস্যা হবে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে যাবে।

বাজারের গতি ধরে রাখতে চাইলে বিএসইসিকে বলব, ওয়েবসাইট ভোগান্তির সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এখানে ভিতর থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে দক্ষ জনবল নিয়ে আসতে হবে।

বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান রকিবুর রহমান। যাতে বাজারে ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে। এটা মাত্র শুরু। কিন্তু এইসময় যদি সিস্টেম কাজ না করে, তাহলে আমি রকিবুর রহমান হলে একটার পর একটা ধরে ফেলতাম। আমরা শেয়ারহোল্ডার পরিচালকেরা দূর্বলতা তুলে ধরছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এর কারণও জানি না।