দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়্ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দরে হঠাৎ ছন্দপনত দেখা দেয়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২.৭০ টাকা বা ২.১৬ শতাংশ। আগের দুদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ২.৯৯ শতাংশ ও ১.৮০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রও পড়ুন…

সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ডিএসইর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!

জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত কোম্পানিটির শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। গতকালের শেয়ারটির ক্রেজ দেখে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল, আজও শেয়ারটির দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণকায় থাকবে। আজ দিনের লেনদেন শুরুও হয়েছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে। কিন্তু লেনদেনের কিছুক্ষণ পরই তা নিম্নমুখী প্রবণতায় রূপ নেয়।

রও পড়ুন…

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ লেনদেন শুরু হওয়ার পর পরই বাজারে খবর আসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় (সর্বশেষ) পর্যায়ের ট্রায়াল সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। ব্রিটেনে একজন ভ্যাকসিন গ্রহীতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই খবরের পরেই বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দরে হঠাৎ পতন দেখা যায়। কোম্পানিটির শেয়ারের আচমকা সেল প্রেসার বেড়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্কও দেখা গেছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, করোনা ভ্যানসিনকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দরে ঝলক দেখা দিয়েছে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকারের ভ্যাকসিন নিয়ে যেহেতু জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেহেতু বেক্সিমকোর শেয়ার দরে এর প্রভাব পড়তে পারে। সে আশঙ্কায় তারা তাদের শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধারণা ঠিক নয়। কোম্পানিটির শেয়ার দর কয়েকদিন যাবত ঊর্ধ্বমুখী ছিল, সে কারণে আজ কিছুটা কারেকশন হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে হয়তো এটি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

এদিকে বিবিসি জানায়, করোনার যত টিকা নিয়ে কাজ হচ্ছে এর মধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটিই সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছে। করোনার এই ভ্যাকসিনের এটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। তৃতীয় ধাপে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে ভ্যাকসিনটি। এই ধাপে সাফল্য মিললেই বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই অক্সফোর্ডের টিকাটির ট্রায়াল চলছে। অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির অসুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার আগ পর্যন্ত এর ট্রায়াল বন্ধ থাকবে সব জায়গায়। স্বতন্ত্রভাবে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার তথ্য জানার পর ট্রায়াল আবার শুরু করা যাবে।