দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ভালো মুনাফা সত্ত্বেও তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে ডাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর দেওয়ার জন্য পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।কমিশনের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় পর একটি ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের দিকে হাটছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিতে চায়। এ জন্য কোম্পানিকে একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ দিতে বলেছে বিএসইসি। অডিটফার্মের আর্থিক প্রতিবেদন নীরিক্ষার পরেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারের টাকা নিয়ে পালানোর দিন শেষ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ‘নো’ ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত মূল্য সংবেদনশীল সংক্রান্ত প্রকাশিত তথ্যটি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এর আলোকে কমিশন আজ এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে। সভায় ‘নো’ ডিভিডেন্ডের বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কে.এম সাইদুর রহমান বলেন, আজকে কমিশন ডেকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীরা যাতে বঞ্চিত না হয়, সেলক্ষ্যে যেকোনভাবে একটি সুখবর দিতে বলেছে। আইনের মধ্যে থেকে আমাদেরকে এ কাজ করার জন্য বলেছে। এ বিষয়ে আমাদের বোর্ড আন্তরিক।

তিনি বলেন, কমিশনের সঙ্গে আজ আলোচনার পরিপেক্ষিতে কিভাবে সুখবর দেওয়া যায়, সেলক্ষ্যে আমরা একটি অডিট ফার্মকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের পরামর্শের আলোকে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ বা অন্য কোন উপায়ে সুখবর দেওয়ার সুযোগ থাকলে, পরামর্শকের পরামর্শের আলোকে দেওয়ার পদক্ষেপ নেব। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া হবে।

কোম্পানি সচিব লিয়াকত আলী খান বলেন, কমিশন আজকে আমাদেরকে ‘নো’ ডিভিডেন্ডের সিদ্ধান্ত পূণ:বিবেচনা (রিভিউ) করার জন্য বলেছে। এর আলোকে আমরা বিনিয়োগকারীদেরকে দ্রুত সুখবর দেব বলে আশা প্রকাশ করছি। এর আগে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এর পরিপেক্ষিতে কমিশন আজ সকালে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিল।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৩১ টাকা। আর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.০৪ টাকায়।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়েছে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।