দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনে সমস্যা ও সম্ভাবনা দিয়ে পাবলিক হেয়ারিং শুরু করেছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামিতে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শেয়ারবাজারের অন্যান্য বিষয় নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সমস্যা ও সুবিধা শোনা হবে।

রও পড়ুন…

৯০ দিনের মধ্যে আইপিও অনুমোদনের পরিকল্পনা বিএসইসি’র

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো পাবলিক হেয়ারিং শুরু করা হয়েছে। এদিন বিএসইসি ও ডিএসইর যৌথ আয়োজনে ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনে সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতামত শুনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, দেশের নাগরিক কতটা সেবা পাচ্ছে, সেখানে তারা কতটুকু সন্তুষ্ট বা তাদের ক্ষোভ রয়েছে কিনা, এসব বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকদের গোচরে আনার জন্য এবং সুশাসনের অংশ হিসেবে পাবলিক হেয়ারিং করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি শেয়ারবাজারে সুশাসনের জন্য হেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিএসইসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নিয়ন্ত্রনের জন্য আইনের প্রয়োগ করে থাকে। এছাড়া বর্তমান কমিশন মনে করে, সুশাসনে স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের মঙ্গলের জন্যই বিএসইসি।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। কিন্তু আমাদের আইটি লেভেল কি সেই পর্যায়ে আছে। হয়তো ভবিষ্যতে অনেক উন্নত হবে। কিন্তু বর্তমানে কি ধরনের সমস্যা ও সুবিধা রয়েছে, তা নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আপনারা (অংশগ্রহনকারীরা) আপনাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রথমবারের মতো পাবলিক হেয়ারিং শুরু করেছি। আগামিতে এর ধারাবাহিকতা থাকবে। এই পাবলিক হেয়ারিং অর্থ যে যেই খাতে থাকে, সেই খাতে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা, তাদের কিছু জানার বিষয় আছে কিনা, তাদের কোন মতামত আছে কিনা, সেটাই তুলে ধরা।

আজকে শেয়ারবাজারে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনে সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে পাবলিক হেয়ারিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন বলতে বিনিয়োগকারীর নিজের ক্রয়-বিক্রয়াদেশ দাখিলকে বোঝানো হয়েছে। এই পদ্ধতিটি ডিএসইতে ২০১৬ সালের মার্চে চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ১০ শতাংশ মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়। এটি করোনাভাইরাসের মধ্যে এখন সহায়ক হয়েছে। তবে সারাবিশ্বে এই ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন বেশি হয়। স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করার কালচার ভারত ও বাংলাদেশে রয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশে দেখা যায় লেনদেন অনেক, কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজে গেলে তা বোঝার উপায় নাই।

ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনে উৎসাহিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদেরকে লেনদেন বাড়াতে হবে। আমরা যদি শেয়ারবাজারে সুশাসন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই, যেটা বর্তমান কমিশনের প্রধান লক্ষ্য, তা বাস্তবায়নে আমাদেরকে প্রযুক্তি উন্নয়নে আগাতে হবে। পুরো লেনদেনটাকে ইন্টারভিত্তিক নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কমিশনের চেয়ারম্যান ফরেন আউটলেট খোলার কথা বলেছেন। এটা করতে গেলে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনের দরকার পড়বে। এটি করতে পারলে লেনদেন অনেক বেড়ে যাবে।

পরে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট ভিত্তিক ট্রেডিং- এর সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোঃ রেজাউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল করিম৷ বওারা দেশব্যাপি বিনিয়োগ সচেতনতার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন৷