দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইল নামমাত্রা ডিভিডেন্ড দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়েছে। কোম্পানিটি ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। কোম্পানিটির আয় ব্যয়ের হিসাব সঠিক ভাবে নীরিক্ষা করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন..

ইউনাইটেডের আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

২০১২ সালে ভালো ব্যবসা দেখিয়ে পুঁজিবাজার থেকে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে এনভয় টেক্সটাইল লিমেটেড। সেই বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আট বছর পর ২০২০ সালেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আবারও ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিল। যদিও গত বছর ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

২০১২ সালে এনভয় টেক্সটাইল আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় মাত্র ৫ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ২ শতাংশেরও কম বা ১.৬৭ শতাংশ।

এদিকে, কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ২০১০-১১ অর্থবছরের ৪.৪২ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে নেমে এসেছে ১.৬৩ টাকায়। এই ইপিএসে কোম্পানিটির ১৬ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সক্ষমতা ছিল। কিন্তু কোম্পানির বোর্ড শুধুমাত্র ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ৩০.৬৭ শতাংশ।

অতিরিক্ত কর প্রদানের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুনাফার যে ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড প্রদানের বাধ্যবাধকতা আছে, তা থেকে রেহাই পেতে এই ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডে ধসে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) শেয়ার দরেও বড় পতনে লেনদেন হচ্ছে।

এদিন সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে আগের দিনের থেকে ৩.৩০ টাকা বা ১১ শতাংশ কম দরে ২৬.৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। করোনায় কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে। কোম্পানিটির প্রথম ৯ মাসে ইপিএস হয়েছিল ২.০৬ টাকা। যা শেষ প্রান্তিকে লোকসানের কারণে নেমে এসেছে ১.৬৩ টাকায়।