দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঋণের টাকা আদায় করতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির বাসার সামনে গিয়ে মাইকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমন ‘হয়রানি’র ঘটনা নিয়ে তৈরি হওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে মুুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে সাবেক মন্ত্রীর পরিবার ও ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে খুলশী থানায় পাল্টাপাল্টি জিডিও হয়েছে। এ ঘটনায় ‘হতবাক’ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও। তারা ব্যবসায়ীর বাসার সামনে মাইকিং করে ‘বেআইনিভাবে গ্রাহক হয়রানি’র নিন্দা জানিয়েছে। এর আগে থেকেই ঋণের টাকা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে গত বছর থেকে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির বাসার সামনে চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে আসা ব্যাংক এশিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা অবস্থান নেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে হ্যান্ডমাইকে নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে ‘বার্তা’ জানাতে থাকেন তারা।

খবর পেয়ে বাসার বাইরে থাকা মুজিবুর রহমান ছুটে এসে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তারা। এ সময় মুজিবের সঙ্গে থাকা কয়েকজন লোক লাঠি নিয়েও তাদের মারতে যান এমন অভিযোগও এসেছে।

তবে নুরুল ইসলাম বিএসসির পুত্র মুজিবুর রহমান ‘অশালীন’ আচরণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ব্যাংক এশিয়ার কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী বাসার সামনে এসে হঠাৎ করেই অপমানজনক অশোভন আচরণ করেছে। আদালতে মামলা চলা অবস্থায় অশোভন আচরণ করলো গ্রাহকের সাথে। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রাহকের ঘর-বাড়ি বা অফিসের সামনে এসে অশোভন আচরণ করা তো কোনো ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় পড়ে না।’ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারেই মুজিবুর রহমান এবং ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মাহবুব উল্লাহ পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন খুলশী থানায়।

ব্যাংক এশিয়া সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম বিএসসি পরিবারের মালিকানাধীন সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেড চট্টগ্রামে ব্যাংক এশিয়ার আগ্রাবাদ শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার পর শুরুর দিকে কিছু অর্থ দিলেও ২০০৮ সাল থেকে ঋণের কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সুদাসলে ব্যাংক এশিয়ার পাওনা দাঁড়ায় মোট ৩৬ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩১৪ টাকা।

ঋণের টাকা আদায়ের জন্য গত বছরের ১০ জুলাই চট্টগ্রামে অর্থঋণ আদালতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংকটি। এতে আসামি করা হয় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম এবং কামরুল ইসলামকে।

জানা গেছে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঋণের টাকা আদায়ের ব্যাপারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন ব্যাংক এশিয়ার স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের এফভিপি এন্ড ইনচার্জ মাহবুব উল্লাহ। ওইদিন তিনি নগরীর কালুরঘাট এলাকায় সানোয়ারা গ্রুপের অফিসে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হন। পরে এ বিষয়ে বৈঠকের অনুরোধ করা হলে সানোয়ারা ডেইরির কর্মকর্তারা পরদিন বৃহস্পতিবার তাদের অফিসেই বৈঠক আয়োজনে সম্মত হন।

ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার আগ্রাবাদ কর্পোরেট অফিসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বনির্ধারিত একটি কর্মসূচি ছিল চট্টগ্রামে আসা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের। ওই বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণ জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যাংক এশিয়ার এফভিপি মাহবুব উল্লাহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে নুরুল ইসলাম বিএসসির খুলশীর বাসার সামনে যান।

কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে হ্যান্ডমাইকে নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে ও সানোয়ারা ডেইরির এমডি মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে তাদের সঙ্গে কথা বলার ‘অনুরোধ’ জানান। খবর পেয়ে বাসার বাইরে থাকা মুজিবুর রহমান ছুটে এসে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণ করেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এ সময় মুজিবের সঙ্গে কয়েকজন লোক লাঠি নিয়েও তাদের মারতে যান এমন অভিযোগও জানিয়েছেন তারা।

তবে সানোয়ারা গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকেও একদফা কথা হয় ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মাহবুব উল্লাহর সঙ্গে। কিন্তু এর ঘন্টাখানেক পর মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে হঠাৎ করেই কালো প্যান্ট আর সাদা শার্ট পরা ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে তিনি নুরুল ইসলাম বিএসসির খুলশীর বাসার সামনে আসেন।

ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টাও করে ওই দলটি। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে ঘরে ঢুকতে না পেরে তারা হ্যান্ডমাইকে মুজিবুর রহমানের নাম ধরে তাকে ডাকতে থাকেন। মুজিবকে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তারা। এ সময় সেখানে আশেপাশের বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়।

খবর পেয়ে বাসার বাইরে থাকা মুজিবুর রহমান কিছুক্ষণ পর খুলশীর বাসার সামনে আসেন। সানোয়ারা গ্রুপের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ করে এমন অবস্থা তৈরি করা হল কেন— এমডি মুুজিবের এমন প্রশ্নে তার সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুব উল্লাহর তর্কাতর্কি শুরু হয়। মাহবুব উল্লাহ এ সময় নিজেকে ‘আইজিপি বেনজীর আহমদের খালাতো ভাই’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দেন।

সানোয়ারা গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক এশিয়া থেকে সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের নেওয়া ঋণ রি-শিডিউলের ব্যাপারে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট উভয়পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এতে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরফান আলী এবং সানোয়ারা ডেইরি ফুডসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমানসহ মোট চারজন স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তি অনুসারে সানোয়ারা ডেইরি অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড ১৬ কোটি টাকা ব্যাংক এশিয়াকে পরিশোধে সম্মত হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৫০ লাখ টাকা ও পরবর্তী ৬ বছরে বাকি টাকা কিস্তি বা ইন্সটলমেন্টে শোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।

সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের এমডি মুজিবুর রহমান এ বিষয়ে  বলেন, ‘একটি ঋণের বিপরীতে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়। তাদের যে টাকা দেওয়ার কথা, আমরা সেই টাকা পরিশোধ শুরু করি। ৫০ লাখ টাকা পেমেন্টও করি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর তারা উল্টে যায়। তাদের বোর্ডের দোহাই দিয়ে লোন রিশিডিউল না করে আরও অতিরিক্ত টাকা চায়।’

প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, চুক্তি অনুসারে প্রথম দফায় ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হলেও পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করে সানোয়ারা ডেইরির কাছে ১৯ কোটি টাকা দাবি করে।

গত বছরের ১০ জুলাই সানোয়ারা ডেইরির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে অর্থঋণ আদালতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক এশিয়া। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সানোয়ারা ডেইরির কাছে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সুদাসলে ব্যাংক এশিয়ার পাওনা মোট ৩৬ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩১৪ টাকা।

তবে সানোয়ারা ডেইরির এমডি মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ওরা মিথ্যা অপপ্রচার করছে টাকার সংখ্যা নিয়েও। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে ১৬ কোটি টাকার। চুক্তি অনুযায়ী এক কোটি টাকা ডাউনপেমেন্টের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা পরিশোধও করেছি আমরা। আমাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তারা তা করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল যেভাবেই হোক টাকা আদায় করা। তারা শর্ত অমান্য করে উল্টো অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। আমরাও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমাদের কাছে তারা যে টাকা পাবে, সেগুলো সবই সুদ।’

এদিকে ঋণের টাকা নিয়ে এসব ঘটনায় ব্যাংক এশিয়া ও সানোয়ারা গ্রুপের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) খুলশীর ঘটনায় তারই প্রকাশ ঘটেছে।

মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘বুধবার (২৮ অক্টোবর) আমাদের কালুরঘাটের অফিসে বৈঠকের সময় ঠিক করা হয়। সেই বৈঠক কনফার্ম থাকার বিষয়টি সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও নিশ্চিত করেন ব্যাংক এশিয়ার এসভিপি মাহবুব উল্লাহ। অথচ সকালে মাহবুব উল্লাহর নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের খুলশীর বাসায় এসে অপমানজনক ঘট্না ঘটালো। এমনকি আইজিপির খালাতো ভাই পরিচয় দিয়ে মাহবুব উল্লাহ আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আদালতে মামলা চলা অবস্থায় ব্যাংক এশিয়া অশোভন আচরণ করলো গ্রাহকের সাথে— যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রাহকের ঘর-বাড়ি বা অফিসের সামনে এসে অশোভন আচরণ করা তো কোনো ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় পড়ে না।’

তবে ওইদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যাংক এশিয়ার এফভিপি মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের ডিএমডি সাহেবের উপস্থিতিতে আগ্রাবাদ কর্পোরেট অফিসে অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। সময় স্বল্পতার কারণে ডিএমডি সাহেব বৈঠকটি আগ্রাবাদেই করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। মূলত এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে আমি মুজিব সাহেবের খুলশীর বাসায় যাই। এ সময় তার মায়ের সঙ্গেও কথা বলি। অথচ মুজিবুর রহমান আরও কিছু লোককে সঙ্গে করে নিয়ে এসে আমাদের অপমান করেন। এমনকি তারা আমাদের লাঠি দিয়েও মারতে যান।’

এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার এই পরিস্থিতিতে কারও বাসায় ঢোকার সুযোগ নেই। তাই আমরা অত্যন্ত বিনীতভাবে মুজিব সাহেবকে বাসার বাইরে এসে আলাপ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে।’ হ্যান্ডমাইক কেন নিয়ে গেলেন সঙ্গে এমন প্রশ্নে মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘অকশন ছাড়াও বিভিন্ন কারণে সচরাচর আমাদের হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করতে হয়। এটা গাড়িতেও রাখা হয় অনেক সময়। সেভাবেই ছিল আমাদের সঙ্গে।’

ঘটনায় ‘হতবাক’ এফবিসিসিআই: এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর বাসার সামনে মাইকিং করে বেআইনিভাবে গ্রাহক হয়রানির নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘একটি বিচারাধীন বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার এমন কর্মকাণ্ড আমাদের হতবাক করেছে।

এমন আচরণের মধ্য দিয়ে ব্যাংক এশিয়া বিচার বিভাগের প্রতি চূড়ান্ত অবজ্ঞা ও অসম্মান প্রদর্শন করেছে। অশোভনীয় এই পদক্ষেপটি সারা দেশে এমএসএমই গ্রাহকদের প্রতি অনেক ব্যাংকের আচরণের প্রতিচ্ছবি, কাকতালীয়ভাবে এই ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে গ্রাহকের সাথে অশোভন আচরণ করে দেশের বিচার প্রক্রিয়াকে এমনভাবে উপেক্ষা করেছে, যেন তারা সকল প্রকার জবাবদিহিতার উর্ধ্বে। এফবিসিসিআই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। উদ্যোক্তাদের বিচারাধীন বিষয়গুলোতে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করবে এফবিসিসিআই। তাছাড়া এ বিষয়ে আমরা ব্যাংকটির বক্তব্য শুনবো। সুত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন