দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ফাইজার ও বায়োএনটেক কোম্পানি জানিয়েছে তাদের উদ্ভাবিত ৯০ শতাংশ সাফল্য দেখিয়েছে। আর এই খবর তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনীতিতে। বিশ্বের প্রায় সব পুঁজিবাজারই চাঙা হয়ে ওঠে। বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দরও বেড়ে যায়। টিকা আসার খবরে আস্থা বাড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

দেখা গেছে, কোভিড-১৯–এর কারণে যেসব খাত চরম ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, তাদের শেয়ারের দরই বেশি বেড়েছে। যেমন এয়ারলাইনস, হোটেল ও পর্যটন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে ফাইজারের টিকার সাফল্যের খবরে। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল ও এক্সপেডিয়ার শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি। ভ্যাকসিন এলে আবার ঘুরে বেড়ানো যাবে, এই ধারণার কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ার।

মজার বিষয় হচ্ছে, মহামারির সময় যারা ভালো করেছিল, বেশি কমেছে তাদের শেয়ারের দর। যেমন জুম ভিডিও কমিউনিকেশন, হোম ফিটনেস কোম্পানি পেলোটন বা সিনেমা দেখার নেটফ্লিক্স। ফাইজারের ঘোষণার পরপরই জুমের শেয়ারের দর কমে যায় ১৭ শতাংশ আর তারা বাজার পুঁজি হারায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। তবে বাজারে আনার আগে ফাইজারকে টিকার আরও তিনটি ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে।

চূড়ান্ত অনুমোদনের পরও আছে উৎপাদন ও বিতরণ। ফাইজার ও বায়োএনটেক বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যে তারা ৫ কোটি টিকা উৎপাদন করতে পারবে আর ২০২১ সাল নাগাদ ১৩০ কোটি।