মিজানুর রহমান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বীমা খাতের কোম্পানি দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড পুঁজিবাজারে আসছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার জন্য অনুমোদন পাওয়া দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবক্রিপশন শুরু সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, বিনিযোগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে চাঁদা গ্রহণের তারিখ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত হবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্দেশ্য ও দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে কোম্পানিটির সচিব মো: আকতারুজ্জামান দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ’কে বলেন, ‘দেশের বীমা খাতের এক বিশ্বস্ত নাম দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি কোম্পানিগুলোর তুলনায় দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির অবস্থান অনেক ভাল।

পাশাপাশি আমাদের ব্যবসায় গ্রোথ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি গ্রাহকদের কাছে আমার আলাদা একটা সুনাম রয়েছে। আশা করি বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স একটা সময় শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।’ ‘ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনই দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্সের মূল চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন করেন।

তিনি বলেন, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্সের ভবিষ্যৎ শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিটির ধারাবাহিক বাড়ছে মুনাফা, ডিভিডেন্ড পলিসি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।

উল্লেখ্য, গত ০২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভা এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বলা হয়, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্সের প্রতিটি ১০ টাকা ইসু মূল্যের ১কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করার প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড ও ফিক্সড ডিপোজিট,পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।

কোম্পানিটির ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু ১১টাকা ৬২ পয়সা। শেয়ার প্রতি আয় ইপিএস ১টাকা ৩৬ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য যে, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানিটি সাধারন শেয়ারে চাঁদা গ্রহণের দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্যদিবস শেষে চাঁদা প্রদানের ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটি বাজার মূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় চাঁদা গ্রহণের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সময় নির্ধারিত হবে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়।