দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনে বুক বিল্ডিংয়ের নিলামে (বিডিং) অতিমূল্যায়ন দর প্রস্তাব করা বিডারদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনে জন্য পাঁচ কোম্পানি যেসব যোগ্য বিনিয়োগকারী নিলামে ২০০ শতাংশের অধিক মূল্যে বিডিং করেছে তাদেরকে পরবর্তী তিনটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) অযোগ্য ঘোষণা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৭৫৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আগের কমিশনের ন্যায় বর্তমান কমিশনও বুক বিল্ডিংয়ে অতিমূল্যায়ন করা বিডারদের নিয়ে চিন্তিত। এইসব বিডাররা নিজেদের স্বার্থে পুরো পুঁজিবাজারের অন্তরায় কাজ করে। তাই পুঁজিবাজারের স্বার্থে এদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি পাঁচটি হলো: ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) এবং ইনটেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

জানা গেছে, এই পাঁচ কোম্পানির কাট-অফ প্রাইসের ২০০ শতাংশের অধিক মূল্যে বিডিং করেছে তাদেরকে পরবর্তী তিনটি আইপিওতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এই পাঁচ কোম্পানির কাট-অফ প্রাইসের যেসব যোগ্য বিনিয়োগকারী ১৫০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশের অধিক মূল্যে বিডিং করেছে তাদের পরবর্তী দুইটি এবং কাট-অফ প্রাইসের ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশের অধিক মূল্যে যেসব যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিং করেছে তাদেরকে পরবর্তী একটি আইপিওতে অংশ গ্রহণের জন্য অযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে বুক বিল্ডিং চালু হওয়ার পরে তাদের মূল্যায়িত যতগুলো কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে, তারমধ্যে আমরা নেটওয়ার্ক ও ওয়ালটন ছাড়া বাকি সবগুলোই কাট-অফ প্রাইসের নিচে অবস্থান করছে।