দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের টানা দরপতণের কারণ অনুসন্ধান করতে দুই সদস্যের কমিটি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে পুঁজিবাজাওে চলমান ইতিবাচক ধারায় ডমিনেজ স্টিলের এই নেতিবাচক প্রবণতা সন্দেহ তৈরী করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। তাই লেনদেন শুরুর পরবর্তীতে কেনো টানা উত্থান এবং এরপরে কেনো ধারাবাহিক পতন, তা খতিয়ে দেখতে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

সূত্র মতে, দ্ইু সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উপ পরিচালক সাইফুল ইসলামকে। অন্য সদস্য হলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক বনি ইয়ামিন। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর অব্যাহতভাবে দর বেড়েছে। কিন্তু এখন বাজারের লেনদেন ভালো হচ্ছে। তবে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের দর পতণ হচ্ছে। এই কারণ অনুসন্ধান করার জন্য কমিশন দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রঙ্গত, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে একযুগে লেনদেন শুরু হয়। শুরুর পর থেকেই টানা বাড়তে থাকে কোম্পানির শেয়ারের দর। এক পর্যায়ে কোম্পানির শেয়ার দাম সর্বোচ্চ বেড়ে ৪৩ টাকা ৩ পয়সা হয়। এর পর থেকে আবার কমতে শুরু করে। আজ বুধবার কোম্পানিটি শেয়ারের সর্বশেষ ৩১ টাকা ১০ পয়সা দাম ছিলো।

এদিন শেয়ারটি ১ হাজার ৫৯৯ বারে ১২ লাখ ১ হাজার ৬৩১টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮ হাজার টাকা। এন ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা । পরিশোধিত মূলধন ৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শতাংশ রয়েছে ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ রয়েছে পরিচালকের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানির বিনিয়োগকারী এবং ৪৫ দশমিক ৩০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার আছে।

উল্লেখ্য, ডমিনেজ স্টিলের ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করার আগেই ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।