দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির আট নয়া উদ্যোগ গ্রহন করছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এই জন্য বিদেশে রোড শো করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন নিয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  সরকার মনে করে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একটি গতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার অপরিহার্য। পুঁজিবাজার উন্নয়নে যে ধরনের সাহায্য দরকার, সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। পুঁজিবাজার বিকশিত করতে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এছাড়া পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৎপর। তেমনি বিভিন্ন ইস্যুতে হার্ডলাইন অবস্থানে রয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠন করা হচ্ছে প্রটেকশন ফান্ড। কম সুদে ঋণ দিতে গঠন করা হচ্ছে নতুন ফান্ড।

পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন করার জন্য রাখছে নূন্যতম বিনিয়োগ। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিতে চায় বর্তমান কমিশন। এছাড়া বিএসইসি চেয়ারম্যান সম্প্রতি বলেছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যেসব কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে, সেসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। এ জন্য অনেক বিষয় আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

আর পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। তেমনি নতুন বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ ও বাধা রয়েছে।

কেউ কেউ আমাদের এই কাজ সম্পন্ন করতে দিতে চাইবে না। কারণ এখানে ইচ্ছে করলেই কোটি কোটি টাকা আয় করা যায়। আমরা যাদের ডিসটার্ব করছি, তারা আমাদের আরামে কাজ করতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে বাজারকে এই পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান মনে করেন। ২০২২ সালে আমাদের পুঁজিবাজার হবে উন্নত দেশের মতো বলে বিএসিইসি চেয়ারম্যান মনে করেন।

এছাড়া গত ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের এক দশক পরে গতি এসেছে দেশের পুঁজিবাজারে। করোনা অতিমারীর কারণে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সঙ্কুচিত হওয়া, ব্যাংক আমানতে সুদের হার কমে যাওয়া, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি এবং পুঁজিবাজারে নিঃশর্তে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ে সব ধরনের মানুষের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে।

নতুন আশায় দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরাও আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন বাজারে। গত দুই মাসে দেড় লাখের বেশি বিনিয়োগকারী নতুন পুঁজিবাজারে এসেছেন। তাদের আশা করোনার মধ্যে ২০২০ সালে যেভাবে পুঁজিবাজার দ্যুতি ছড়িয়েছে ২০২১ সালে আরও তেজিভাব বজায় রাখতে পারবে।

বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার: পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এই জন্য বিদেশে রোড শো করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রথম ধাপে আগামী ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়াইর দুবাইয়ে রাইজিং অব বেঙ্গল টাইগার পটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ নামে চার দিন ব্যাপী রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।

অবন্টিত ২১ হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ব্যবস্থাপকদের কাছে অলস পড়ে আছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। অলস এই টাকা বিনিয়োগে নীতিমালা করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি)।

সূত্র মতে, এই ফান্ডের নাম হবে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলিস্টমেন্ট ফান্ড অব বিএসইসি’। প্রাথমিকভাবে এর আকার হবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এর আকার আরও বড় হতে পারে। কারণ সব কোম্পানির তথ্য এখনো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আসেনি। অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর তথ্য এখানে যুক্ত করা হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিএসইসিতে ২০ হাজার ৯৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার তথ্য একত্রিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ ৯৫৬ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বরের বাজার দর অনুযায়ী বোনাস শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি নীতিমালা করছে বিএসইসি। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকা ফান্ড আবেদন: পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এই টাকা দিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)কে শক্তিশালী করতে বিএসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এই ফান্ড চেয়েছে। পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য স্বল্প সুদে আইসিবিকে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং ঋণে জর্জরিত ব্রোকারেজহাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সুত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে উল্লেখিত তহবিলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদী ঋণ প্রদান করবে। এ ফান্ডের বিনিয়োগের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ যার ১ শতাংশ সিংকিং ফান্ডে জমা থাকবে। ফান্ডের মাধ্যমে উত্তেলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইস্যুকৃত কর্পোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ৬ থেকে ৭ শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে। এ ফান্ড গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সরকারের রজস্ব আহরণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

বন্ড পেতে লাগবে ২০০ কোটি টাকার তহবিল: পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন সামাল দিতে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তহবিলের নীতিমালা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুযোগ হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুত্রে জানা গেছে, তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর গত ১০ মাসে ২১টি ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন করেছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর ওই তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।

২১ ব্যাংকের তহবিল গঠন: বিশেষ সুবিধায় ৬০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠনের সুযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি ব্যাংক এই তহবিল গঠন করেছে। এর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, ওয়ান, ইউসিবি, এনসিসিবিএল ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এ ছাড়া এক্সিম ব্যাংক ৮০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে।

সিটি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ৫০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এর বাইরে রূপালী, ইসলামী, পূবালীসহ আরও ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৫২০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই নিজস্ব উৎস থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তহবিল গঠন করেছে।

ব্যাংকগুলোর ব্যাসেল সংক্রান্ত শর্ত পরিপালনের জন্য বন্ড ইস্যু: ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ থাকলেও অধিকাংশ ব্যাংক তা না করায় হতাশ হয়ে পড়ে কমিশন। বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিলেও তা উপেক্ষা করে ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে কমিশন।

ব্যাংকগুলোর ব্যাসেল সংক্রান্ত শর্ত পরিপালনের জন্য ব্যাংকগুলোকে বন্ড ইস্যু করতে হয়। এক্ষেত্রে এসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এখন এই বন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গত ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের জারি করা বিশেষ তহবিল সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিপালনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে এসইসি।

বিশেষ তহবিল গঠন না করলে ব্যাংকগুলো বন্ডের চাঁদা সংগ্রহ করতে পারবে না। সম্প্রতি ৫-৬টি ব্যাংকের পার্পিচ্যুয়াল বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেগুলোতে এমন শর্তারোপ করা হয়েছে। তফসিলি ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারে।

ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস থেকেও এমন তহবিল গঠন করতে পারে। ওই বিশেষ তহবিলের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ব্যবহার করতে পারবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠন করা বিশেষ তহবিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে ব্যাংক, যা পুঁজিবাজারে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বর্ণিত বিনিয়োগ গণনার বাইরে থাকবে।

আইপিওতে আবেদন করতে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ: পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে একটি অভিনভ উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম বিনিয়োগ ২০ হাজার টাকা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসবে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ।

বীমা কোম্পানির থাকতে হবে ২০ শতাংশ বিনিয়োগ: বীমা কোম্পানিগুলোকে বাজার আনার জন্য অনেক আইনে ছাড় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে একটি শর্ত দিয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের। বীমা কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রেও আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের অন্তত ২০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া ব্রেআকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে দাবীহিন টাকা বিএসইসির গঠন প্রক্রিয়ায় নিতে চায়।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদেশে অবস্থান করা অনেক সম্পদশালী বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের প্রচুর অলস অর্থ রয়েছে। কিন্তু তারা বিনিয়োগ করার মতো কোনো জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের সঞ্চিত অর্থ পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়নে কাজে লাগাতে চায় সরকার। বিদেশে অবস্থানরত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে ডিজিটাল বুথ চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসইসি। এতে প্রবাসী বিনিয়োগকারী সরাসরি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন এবং নিজের বিনিয়োগ নিজেই পরিচালনা করতে পারবেন।