দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির। কোভিড ১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখায় তাকে এ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করে প্রভাবশালী সংবাদপত্র গ্লোবাল মার্কেটস।

তবে সরকারের সম্মিলিত চেষ্টায় কোভিড সংকট মোকাবিলায় সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে এ সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। এ বিষয়ে গ্লোবাল মার্কেটস কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

গ্লোবাল মার্কেটস সংবাদপত্রটি ৩০ বছর ধরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির বার্ষিক সভা নিয়ে প্রতিবেদন করছে। তাদের বিচারেই ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গভর্নর হয়েছেন ফজলে কবির। করোনাকালে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনার ঋণ তহবিল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। এছাড়া নীতি সুদহার ও নগদ জমার হার কমিয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য বাড়তি তারল্যের ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের বিভিন্ন সফলতার উল্লেখ করে তাকে সম্মাননা দেয়ার আগ্রহ জানিয়ে গত সপ্তাহে চিঠি পাঠান গ্লোবাল মার্কেটের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক টবি ফিল্ডার। তবে গভর্নর এ সম্মাননা নিতে অস্বীকার করে ফিরতি চিঠি দিয়েছেন।’

কোভিড পরিস্থিতি সামলানোর কৃতিত্ব এককভাবে নিতে রাজি নন ফজলে কবির। তিনি বলেছেন, এই সাফল্যের পেছনে কেবল তার একার অবদান বা কৃতিত্ব নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব কর্মকর্তার চেষ্টাতেই সাফল্য এসেছে। কোভিড সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য স্বল্প, মধ্যমেয়াদি যেসব প্যাকেজ নেয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল বলেও মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন ফজলে কবির। গত আগস্টে ৬৫ বছর বয়স পূরণের পর তিনি অবসরে যান। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে নতুন কাউকে গভর্নর করা হলে ব্যাংক খাত সামাল দেয়া কঠিন হবে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধন করে গভর্নরের বয়সসীমা ৬৭ করে সরকার। এরপর গভর্নর হিসেবে পুনঃনিয়োগ পান ফজলে কবির।