মোবারক হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা সূচক ও লেনদেন কমে যাওয়ায় দু:চিন্তায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। মাত্র ৩ কার্যদিবসের ব্যবধানে লেনদেন প্রায় ২ হাজার চারশত কোটি থেকে প্রায় ১ হাজার ২ শত কোটি ঘরে চলে আসছে। এতে লেনদেন ৩ ভাগের এক ভাগে চলে আসছে।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার থেকে হঠাৎ ছন্দপতনের নেপথ্যে প্রাতিষ্ঠাসিক বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ডে ট্রেডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার কারণেই এমন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তবে এতে বাজার পরিস্থিতি শিগগির ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

পুঁজিবাজারে সম্প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়েছেন। যার জেরে বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ এক থেকে পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে হঠাৎ করে বাজারে ছন্দপতনে তাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। তারাও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে বাজারে গুজব রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মশিউর সিকিউরিটিজের এক উর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, ‘হঠাৎ করে বাজার পরিস্থিতি এমন হবে তা ভাবিনি। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেও এখন ডে ট্রেডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এটা করলে বাজার নিজস্ব গতি হারাবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত কাজ হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এখন দেখছি তার উল্টো চিত্র। তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করেন না কেউই।’

জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ১০৬ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০ টি শেয়ার দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে, সিএসই ৫০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির শেয়ার দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।