দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যটাগরির কোম্পানি হিসেবে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের পর্ষদ পূণ:গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া সার্বিক তদারকির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। বুধবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আলহাজ্ব টেক্সটাইলে পাঠানো হয়েছে।

‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর জারিকৃত বিএসইসির নোটিফিকেশনের ২-এ বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরিতে পতিত হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানির পর্ষদ পূণ:গঠন করা হবে। এই পূণ:গঠনে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার পরিচালকেরা পরিচালক হওয়ার যোগ্য হবেন এবং কমিশন এক বা একাধিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিবে।

এছাড়া গত ১০ ডিসেম্বর উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ কোম্পানি নিয়ে জারিকৃত এক নির্দেশনার ১-এ বিএসইসি বলেছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। একইসঙ্গে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের শর্ত পরিপালন না করা পর্যন্ত পর্ষদে অতিরিক্ত ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন।

এই ২ নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় আলহাজ্ব টেক্সটাইলে ৩জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. কেএম সালাউদ্দিন ও আইবিএ’র সহযোগি অধ্যাপক মিলিতা মেহজাবিন। একইদিনে কোম্পানিটির সার্বিক তদারকির জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ও ডিএসইর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

পর্ষদ পূণ:গঠন নিয়ে আলহাজ্ব টেক্সটাইলকে পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি উল্লেখ করেছে, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে। এরপরে কোম্পানিটির কোন উন্নতি হয়নি। এছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা মাত্র ১২.৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমে বিএসইসির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। অথচ কোম্পানিটিতে ৮৭.২২ শতাংশ শেয়ার ধারন করেও সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা গত ২ অর্থবছর ধরে কোন লভ্যাংশ পাচ্ছে না। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও কমিশনের কাছে অপ্রত্যাশিত।

এরইমধ্যে একজন পরিচালক ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার উচ্চ দরে (১০০ টাকার উপরে) বিক্রি করেছে। যা ঘোষণা ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরন বিধিমালা ভঙ্গ করা হয়েছে।

এসব বিবেচনায় আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের চলমান দূরাবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য কমিশন কোম্পানিটির পর্ষদ পূণ:গঠন ও কমিটি গঠন করল।উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আলহাজ্ব টেক্সটাইলের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।