দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হলে আর্থিক খাতের শেয়ারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল। গত নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে অর্থাৎ এক মাসে আর্থিক খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে।

যা আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর। ডিসেম্বরে এ খাতের আর্থিক বছর চলতি মাস থেকেই এ খাতের কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। সন্তোষজনক হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে ঘুরে দাঁড়াতে পারে আর্থিক খাত। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুঁজিবাজারে এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

করোনা মহামারী উদ্ভুত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের ৮ কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা বাড়ছে। আইডিএলসি, বিডি ফাইন্যান্স, বে-লিজিং, ন্যাশনাল হাউজিং, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স ও প্রিমিয়ার লিজিং।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিক আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বও সময় আইডিএলসির শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৯২ পয়সা। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা। ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে আইডিএলসি শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। শেয়ার প্রতি মুনাফায় বিডি ফাইন্যান্সের বড় উল্লফন হয়েছে।

২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময় মুনাফা ছিল ১ টাকা ২ পয়সা। করোনা মহামারীর মধ্যে ও শেয়ার প্রতি মুনাফা বাড়ছে ৮৮ পয়সা। ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বও বে-লিজিংয়ের শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৭৮ পয়সা। ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে বে-লিজিংয়ের শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ২৬ পয়সা। গত বছরের প্রথম ৯ মাসে মুনাফা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। করোনা মহামারীতে ন্যাশনাল হাউজিং শেয়ার প্রতি মুনাফা বাড়ছে।

২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে ন্যাশনাল হাউজিং শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আর ২০২০ সালের একই সময় শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়ে ২ টাকা ১৩ পয়সা। ১ বছরের ব্যবধানে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৬৮ পয়সা। লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের মুনাফা প্রায় দ্বিগুন বেড়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৪৮ পয়সা। আর গত বছরের প্রথম ৯ মাসে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৮৮ পয়সা। ১ বছরের ব্যবধানে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৪০ পয়সা।

মাইডাস ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফায় বড় চমক দেখিয়েছে। করোনার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি লোকসান থেকে মুনাফা ফিরেছে। ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে মাইডাস ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। বিপরীতে ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বরে সময়ে মাইডাস ফাইন্যান্সের মুনাফা হয়েছে ৩১ পয়সা। এই হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা।

ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা সামান্য বেড়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৯৪ পয়সা। গত বছরের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ে মুনাফা হয়েছে ৯৯ পয়সা। ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫ পয়সা।

প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ার প্রতি মুনাফা ২০২০ সালের প্রথম ৯ মাস পুর্বের বছরের তুলনায় ২ পয়সা বেড়েছে। এদিকে মুনাফায় থাকলেও গত বছরের জানুয়ারী- সেপ্টেম্বও সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫ কোম্পানির মুনাফা ২০১৯ সালের তুলনায় কমেছে। মুনাফা কমা কোম্পানিগুলো হলো: ডিবিএইচ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স ও ইউনাউটেড ফাইন্যান্স।

এদিকে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো মুনাফা বাড়ার সাথে সাথে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ গত নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বও মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু ১৮টি কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমেছে। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৯টি কোম্পানিতে।

বিনিয়োগ কমেছে তিন কোম্পানিতে আর অপরিবর্তিত রয়েছে এক কোম্পানির। এ সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমেছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানে, বেড়েছে তিনটিতে এবং স্থিতিশীল রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ। একই সময়ে উদ্যোক্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে মাত্র এক কোম্পানিতে। বাকি ২২টিতে বিনিয়োগের কোনো পরিবর্তন নেই। ২০টি কোম্পানিতে সরকারের কোনো বিনিয়োগ নেই।

তিনটি প্রতিষ্ঠানে সরকারি বিনিয়োগ থাকলেও ডিসেম্বরে এর কোনো ওঠানামা হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগেও অগ্রগতি নেই। একটি প্রতিষ্ঠানেও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়েনি। ১৩টি কোম্পানিতে নেই সামান্য বৈদেশিক বিনিয়োগ। এছাড়া ৭টি কোম্পানির বিনিয়োগও আগের অবস্থায়। তিনটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ পশ্চাৎমুখী।

এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। নভেম্বর মাসে এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে বিনিয়োগ ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রিমিয়ার লিজিংয়ে। নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। ডিসেম্বরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

ডিসেম্বরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বে-লিজিংয়ে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪১ দশমিক ৯৮ শতাংশ; বিডি ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ; বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ; ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশে বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ; ফারইস্ট ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ; ফাস ফাইন্যান্সে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ;

ফার্স্ট ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ; জিএসপি ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ; ইনভেস্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৭০ শতাংশে।

আইডিএলসিতে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ; আইপিডিসিতে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ; ইসলামিক ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ; ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশে; ফিনিক্স ফাইন্যান্সে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৯৭ শতাংশ;

ইউনিয়ন ক্যাপিটালে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ; ইউনাইটেড ফাইন্যান্সে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশে; উত্তরা ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ; প্রাইম ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এ সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ; মাইডাস ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে পিপল্স লিজিংয়ে। ডিসেম্বর মাসে সাধারণ বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি কমেছে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সে। নভেম্বর মাসে লঙ্কাবাংলার শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগ ছিল ৪৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিসেম্বরে বিনিয়োগ ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কমে ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় সাধারণ বিনিয়োগ বে-লিজিংয়ে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কমে কমে হয়েছে ২৭ দশমিক ৮২ শতাংশ; বিডি ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৫৫ দশমিক ৩২ শতাংশ; বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ; ডেল্টা ব্র্য্যাক হাউজিংয়ে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ; ফারইস্ট ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১০ শতাংশ; ফাস ফাইন্যান্সে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ;

ফার্স্ট ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ; জিএসপি ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ; আইসিবিতে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে হয়েছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আইপিডিসিতে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ; ইসলামিক ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ;

ন্যাশনল হাউজিংয়ে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে হয়েছে ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ; ফিনিক্স ফাইন্যান্সে ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ; ইউনিয়ন ক্যাপিটালে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৫ দশমিক ২৭ শতাংশ; ইউনাইটেড ফাইন্যান্সে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ; উত্তরা ফাইন্যান্সে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ;

প্রাইম ফাইন্যান্সে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ; মাইডাস ফাইন্যান্সে বিনিয়োগ শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ২৮ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আইডিএলসি ও পিপল্স লিজিংয়ে সাধারণ বিনিয়োগের কোনো পরিবর্তন হয়নি।